শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে নিজের শোয়ার ঘরে গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অর্ঘ্য কমল রায় (২৪)। শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘুম থেকে না উঠায় ওই কক্ষে যান তার মা। অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না দেওয়ায় কাছে গিয়ে তিনি দেখেন, বিছানায় তার ছেলের নিস্তেজ দেহ পড়ে রয়েছে। মায়ের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক কমলকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের কলাদী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। কমলের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অর্ঘ্য ঢাকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শেষ পর্বের ছাত্র ছিলেন। তার বাবার নাম সুশীল কুমার রায়। আগামী ১ জানুয়ারি একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিতে কর্মকর্তা পদে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার। মেধাবী ছাত্র কমল এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
সুশীল কুমার রায় জানান, কমল কয়েক দিন আগে ঢাকা থেকে বাসায় আসেন। শুক্রবার রাত ১১টায় খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করেন। দিবাগত রাত দুইটার দিকে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে মুঠোফোনসেট থেকে গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। কমলের শয়নকক্ষের দরজা খোলা অবস্থায় ছিল। কমলের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোনো ধারণা করতে পারছেন না তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একেএম মাহাবুবুর রহমান বলেন, স্ট্রোকজনিত কারণেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন। কমলের শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। তিনি আরও বলেন, মুঠোফোনে একনাগাড়ে অনেকক্ষণ কথা বললে এমনিতেই মাথা ঝিমঝিম করে। কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে অনেকক্ষণ গান শোনায় তাঁর মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলো উত্তেজিত হয়ে স্ট্রোকের ঘটনা ঘটাতে পারে। ফলে সাবধান হোন সবাই, কানে এয়ারফোন লাগিয়ে ঘুমাবেন না।