ঢাকা ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী আল আমিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৫২৩ বার

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গোকুলনগর গ্রামের আদম বারীর ছেলে আল আমিন ভ্রাম্যমান হাঁসের খামার করে আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হয়েছে। কৃষি কাজের পাশাপাশি সে অবসর সময়ে ৪৭০টি হাঁস পালন করে প্রতিদিন ডিম বিক্রি করে ১ হাজার ৫শ টাকা আয় করছে। কিনেছে মটরসাইকেল, নিয়েছে বর্গা জমি। নিজে যেমন আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে তেমন এলাকার মানুষের পুষ্টি, আমিষের চাহিদা পুরনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করছে।

আল আমিন বলেন, পড়াশোনা বেশি দুর করতে না পারায় দত্তনগর গোকুলনগর কৃষি ফার্মে দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে কৃষি কাজ করি। গত ফেব্রুয়ারী মাসে ভাবি ভ্রাম্যমান হাঁসের খামার তৈরি করব। চুয়াডাঙ্গার জেলা থেকে ৩৪ টাকা দরে ৫০০টি ক্যাম্বেল জাতের হাসের বাচ্চা ক্রয় করে ১৭ হাজার টাকা দিয়ে প্রথমে শুরু করি। এর পর হাসেঁর বাচ্চাগুলো লালন পালন করি। হাসগুলো মধ্যে ৩০টি মারা যায় ও হারিয়ে যায়। হাসগুলোকে আলাদা করে বেশি খেতে দিতে হয় না।

বাড়ির পাশে এশিয়ার বৃহত্তম কৃষিফার্ম রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সময় ধান, গমসহ অন্যান্য ফসল কাটার পর জমিতে ফসল পড়ে থাকে। এ ছাড়াও ফার্মের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট একটি খাল। দিনের কাজ শেষে প্রতিদিন বিকালে হাসগুলো নিয়ে মাঠে চলে যায়। এর পর মাঠ থেকে হাসগুলো খাইয়ে নিয়ে আবার বাড়িতে আনা হয়।

আল আমিন আরো বলেন, হাস পালন করতে হাঁস ক্রয় থেকে শুরু করে হাসের ঘর তৈরি, খাবার, ওষুধসহ এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। হাসগুলো গত ৪ মাস ধরে ডিম দিচ্ছে। ইতিমধ্যে সে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মতো হাসের ডিম বিক্রি করেছে। সে জানায়, এলাকায় হাসের ডিমের প্রচুর চাহিদা। এখন প্রতিদিন গড়ে ১৩০টি ডিম সংগ্রহ করে।

একটি ডিম বিক্রি করে সাড়ে ৯ টাকা দরে। সকালেই বাড়ি থেকে ডিমগুলো বিক্রি হয়ে যায়। তার এখন ৪৭০টি হাস রয়েছে। যার আনুমানিক মুল্য প্রতিটি ৩০০ টাকা দরে ১ লাখ ৪১ হাজার টাকা। তার সবগুলো হাঁস একজন ব্যবসায়ী ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দাম দিয়েছে। তাও সে বিক্রি করেনি।

তিনি বলেন, ভ্রাম্যমান হাঁসপালন করা সহজ। ছাগল গরুর মতোই এটি বিভিন্ন মাঠে নিয়ে নিয়ে খাইয়ে নিয়ে আসতে হয়। একটি হাঁস বছরে ১৬০ থেকে ১৮০টি ডিম দিয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে একটি হাঁস থেকে ১ হাজার ৭শ টাকার ডিম পাওয়া যায়।

গর্ব করে আলআমিন বলেন, ডিম বিক্রির টাকা দিয়ে মটরসাইকেল কিনেছি, জমি বর্গা নিয়েছি। হাঁসের ডিম যেমন পুষ্টিকর তেমনি হাঁসের মাংস আমিষের চাহিদা মেটাতে পারে। যদি প্রতিটি গ্রামে হাঁসের ভ্রাম্যমান খামার থাকে তাহলে ঐ গ্রামের আমিষের চাহিদা ও ডিমের চাহিদা মিটবে বলে মনে করেন আলামি হোসেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতকাল এলেই বাড়ে যেসব চর্মরোগ

হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী আল আমিন

আপডেট টাইম : ১১:১৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গোকুলনগর গ্রামের আদম বারীর ছেলে আল আমিন ভ্রাম্যমান হাঁসের খামার করে আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হয়েছে। কৃষি কাজের পাশাপাশি সে অবসর সময়ে ৪৭০টি হাঁস পালন করে প্রতিদিন ডিম বিক্রি করে ১ হাজার ৫শ টাকা আয় করছে। কিনেছে মটরসাইকেল, নিয়েছে বর্গা জমি। নিজে যেমন আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে তেমন এলাকার মানুষের পুষ্টি, আমিষের চাহিদা পুরনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করছে।

আল আমিন বলেন, পড়াশোনা বেশি দুর করতে না পারায় দত্তনগর গোকুলনগর কৃষি ফার্মে দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে কৃষি কাজ করি। গত ফেব্রুয়ারী মাসে ভাবি ভ্রাম্যমান হাঁসের খামার তৈরি করব। চুয়াডাঙ্গার জেলা থেকে ৩৪ টাকা দরে ৫০০টি ক্যাম্বেল জাতের হাসের বাচ্চা ক্রয় করে ১৭ হাজার টাকা দিয়ে প্রথমে শুরু করি। এর পর হাসেঁর বাচ্চাগুলো লালন পালন করি। হাসগুলো মধ্যে ৩০টি মারা যায় ও হারিয়ে যায়। হাসগুলোকে আলাদা করে বেশি খেতে দিতে হয় না।

বাড়ির পাশে এশিয়ার বৃহত্তম কৃষিফার্ম রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সময় ধান, গমসহ অন্যান্য ফসল কাটার পর জমিতে ফসল পড়ে থাকে। এ ছাড়াও ফার্মের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট একটি খাল। দিনের কাজ শেষে প্রতিদিন বিকালে হাসগুলো নিয়ে মাঠে চলে যায়। এর পর মাঠ থেকে হাসগুলো খাইয়ে নিয়ে আবার বাড়িতে আনা হয়।

আল আমিন আরো বলেন, হাস পালন করতে হাঁস ক্রয় থেকে শুরু করে হাসের ঘর তৈরি, খাবার, ওষুধসহ এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। হাসগুলো গত ৪ মাস ধরে ডিম দিচ্ছে। ইতিমধ্যে সে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মতো হাসের ডিম বিক্রি করেছে। সে জানায়, এলাকায় হাসের ডিমের প্রচুর চাহিদা। এখন প্রতিদিন গড়ে ১৩০টি ডিম সংগ্রহ করে।

একটি ডিম বিক্রি করে সাড়ে ৯ টাকা দরে। সকালেই বাড়ি থেকে ডিমগুলো বিক্রি হয়ে যায়। তার এখন ৪৭০টি হাস রয়েছে। যার আনুমানিক মুল্য প্রতিটি ৩০০ টাকা দরে ১ লাখ ৪১ হাজার টাকা। তার সবগুলো হাঁস একজন ব্যবসায়ী ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দাম দিয়েছে। তাও সে বিক্রি করেনি।

তিনি বলেন, ভ্রাম্যমান হাঁসপালন করা সহজ। ছাগল গরুর মতোই এটি বিভিন্ন মাঠে নিয়ে নিয়ে খাইয়ে নিয়ে আসতে হয়। একটি হাঁস বছরে ১৬০ থেকে ১৮০টি ডিম দিয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে একটি হাঁস থেকে ১ হাজার ৭শ টাকার ডিম পাওয়া যায়।

গর্ব করে আলআমিন বলেন, ডিম বিক্রির টাকা দিয়ে মটরসাইকেল কিনেছি, জমি বর্গা নিয়েছি। হাঁসের ডিম যেমন পুষ্টিকর তেমনি হাঁসের মাংস আমিষের চাহিদা মেটাতে পারে। যদি প্রতিটি গ্রামে হাঁসের ভ্রাম্যমান খামার থাকে তাহলে ঐ গ্রামের আমিষের চাহিদা ও ডিমের চাহিদা মিটবে বলে মনে করেন আলামি হোসেন।