স্বপ্নপূরণ বুঝি এভাবেই হয়। আফগানিস্তানের ৬ বছর বয়সী বালক মুর্তাজা আহমাদির স্বপ্ন পূরণই হয়ে গেলো। একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ কেটে মেসির আর্জেন্টিনার জার্সি পরে পিঠে মেসির নাম এবং ১০ নম্বর লাগিয়ে ছবি তুলেছিলেন সেই বিস্ময় বালক। সেই প্লাস্টিকের জার্সি পরে ফুটবল খেলার ছবিও তুলেছিল বালকটি।
তার বড় ভাই সেই ছবিগুলো আপলোড করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল তা। তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল সারাবিশ্বে। অবশেষে খুঁজে বের করা হয়, মেসির এই ক্ষুদে ভক্ত আফগানিস্তানের। ওই সময় এতো তোলপাড় হয়েছিল যে, তার নামই দেয়া হয়েছিল ‘প্লাস্টিক মেসি’ নামে।
আফগানিস্তানের যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে ওঠা শিশু আহমাদি। জীবন বাঁচাতে যে মা-বাবার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানে। আসল জার্সি কেনার সামর্থ্য নেই বলে পলিথিনের ব্যাগ দিয়ে তৈরি করে নিয়েছিল মেসির জার্সি। এই ভালোবাসা দেখে আবেগে ভেসেছে মেসি নিজেও।
মেসি নিজে শিশুটিকে ডেকে নিতে চেয়েছিলেন বার্সেলোনায়। ভিসা-জটিলতার কারণে তখন তা সম্ভব হয়নি। পরে ইউনিসেফ আফগানিস্তানের মাধ্যমে মেসি দুটি জার্সি ও কিছু ফুটবল উপহার পাঠান বালকটির কাছে।
এবার বার্সেলোনা এসেছে আরব আমিরাতের দোহায়, এক প্রীতি সফরে। এটাই সুযোগ। মেসি সেখানে ডেকে নেন আহমাদিকে। বার্সেলোনার জার্সি পরে মেসির কাছে ছুটে গেলো বালকটি। শুধু ছুটে যাওয়াই নয়, এক লাফে উঠে গেলো তার কোলে। ক্লিক.. ক্লিক…। ছবিও উঠে গেলো তখন অনেকগুলো। মেসিদের সাবেক সতীর্থ জাভির ক্লাব আল আহলির বিপক্ষে আজ যখন মাঠে নামবে বার্সেলোনা; মেসি আহমাদিকেও সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামবেন।