ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক বলেছেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ২০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৩ বছরে ২০ শতাংশ এবং আগামী ১০ বছরে হাইটেক সিটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।
হাইটেক সিটির নির্মান সম্পন্ন হলে এখানে এক লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থান হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই হাইটেক সিটিতে দেশের বৃহত্তম ডেটা সেন্টার নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে।
দুপুরের পর মাননীয় এমপি ইমরান আহমদ এর সভাপতিত্বে বৈঠকে এসময় উপমিস্থত ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এ কে এম রহমতউল্লাহ এমপি, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি, শওকত হাচানুর রহমান (রিমন) এমপি, শরীফ আহমেদ এমপি, শেখ আফিল উদ্দিন এমপি, কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি এবং বেগম হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া এমপি।
দেশে হাইটেক পার্ক সৃষ্টি, এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে ‘ বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০’ পাশ করেন। বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে স্থাপিত গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দেশের প্রথম হাইটেক পার্ক ‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি’ (কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক)।
এ পার্কে মোট জমির পরিমাণ ৩৫৫ একর। পিপিপি মডেলে বাস্তবায়নের জন্য ২৩২ একর জমি মাষ্টার প্ল্যান মোতাবেক ৫টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে ব্লক-১ এ এডমিনিস্ট্রেশন, রেসিডেনশিয়াল ও সোসাল ইমনিটিস এর জন্য ৬৫ একর ভুমি। ব্লক-২ এ এমটিবি, হোটেল, কনভেনশন সেন্টার ও ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এরিয়ার জন্য ৬২ একর ভুমি। ৪০ একর ভুমি নিয়ে ব্লক-৩। ব্লক-৪ এ এমটিবি এবং ইন্ডাষ্ট্রিঢাল এরিয়ার জন্য ৩৬ একর ভুমি এবং ব্লক-৫ শুধু মাত্র ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এরিয়া নিয়ে ব্যবহৃত হবে। যার ভুমির পরিমাণ ২৯ একর।
এরই মধ্যে ব্লক-২ এবং ব্লক-৫ এর জন্য গত ২০১৫ সালে ২৮ জুন ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান সামিট টেকনোপলিশ লি. এর সাথে একতটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। ২০১৫ সালের ১১আগষ্ট বাংলাদেশ টেকনোসিটি লি. এর সাথে ব্লক-৩ এর জন্য চুক্তি হয়। এছাড়া ব্লক-৪ এর জন্য এরই মধ্যে ডেভেলপার নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসকল চুক্তিসমূহের মেয়াদ ৪০ বছর যা ১০+১০ হিসেবে বর্ধনযোগ্য।
সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেড : প্রতিষ্ঠানটির ব্লক-২ এ সিগনেচার বির্ল্ডি নির্মাণের লক্ষে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া চ’ড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সম্প্রতি রহফরমড়.নফ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঠরনবৎধহঃ ঝড়ভঃধিৎব খঃফ. নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে নিগোসিয়েশন চলমান রয়েছে। এছাড়া আগ্রহী বিনোয়গকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে জমি বরাদ্ধ সংক্রান্ত নেগোসিয়েশন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ব্লক-৫ এ শ্রীলংকান কোম্পানী ঊডওঝ ঈড়ষড়সনড় খঃফ. এর নেতৃত্বে একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানীর জন্য ল্যাপটপ ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভুমি উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ টেকনোসিটি লিমিটেড : ব্লক-৩ এ প্রতিষ্ঠানটির একটি মাল্টি ট্যানেন্ট ভবনের বেজমেন্ট এর ছাদ ঢালাই কাজ এরই মধ্যে শেষ করেছেন। যার আয়তন ১লাখ ৮৬ হাজার বর্গফুট। এছাড়া গ্রাউন্ড ফ্লোরের কলাম এর কাজ ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক ব্লক-৩ এ একটি ডাটা সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনার বিষয়টি সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। বাংলাদেশ টেকনোসিটি লি. এর সাথে এরই মধ্যে ২/৩টি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে বিনিয়োগ সংক্রান্ত নেগোশিয়েশন চ’ড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।