তামিম ইকবাল
রান ৪৭৬ গড় ৪৩.২৭
আসরে সর্বাধিক ৬টি অর্ধশতকের কৃতিত্ব এ বাঁহাতি ওপেনারের। সর্বাধিক রানের কৃতিত্বও তার। আসরে তিনের বেশি ফিফটির কৃতিত্ব নেই কারো। এবারের বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের ব্যাট হাতে তিনি হাঁকিয়েছেন ৫৩টি বাউন্ডারি। এতে তার ধারে কাছে নেই কেউ। দ্বিতীয় সর্বাধিক ৩৬ বাউন্ডারির নজির রংপুর রাইডার্সের আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদের।
মেহেদী মারুফ
রান ৩৪৭ গড় ২৬.৬৯
ঢাকা ডায়নামাইটসের ব্যাট হাতে সর্বাধিক রান তার। আসরে সবচয়ে মারকুটে ব্যাটসম্যানের ছবিটাও ঢাকার এ ওপেনারের। এবারের বিপিএলে সর্বাধিক ২০টি ছক্কার নজির মারুফের। দ্বিতীয় সর্বাধিক ১৭টি ছক্কার ঘটনা রাজশাহী কিংসের ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান ড্যারেন স্যামির। আসরে স্বদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক ৩১টি চারের মারও মারুফের।
মোহাম্মদ মিঠুন
রান ৩২০ গড় ৪৫.৭১
আসরে ওয়ানডাউন এ ব্যাটসম্যানকে অপরাজিত থেকে ক্রিজ ছাড়তে দেখা গেছে পাঁচবার। আসরের শুরুর দিকের চার ইনিংসে তার সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ৬২, ৪৫*, ৪৯* ও ৬৪*। আসরের শুরুর পাঁচ ম্যাচে চার জয় নিয়ে সামর্থ্য দেখাচ্ছিল তার দল রংপুর রাইডার্সও।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
রান ৩৭৪ উইকেট ৯
আসরে সেরা অলরাউন্ডারের ছবিটা তার। পৃথক ম্যাচে ব্যাট ও বল হাতে নৈপুণ্য নিয়ে দলকে জয় এনে দেন বরিশাল বুলসের এই অধিনায়ক। আর আসরের শুরুর দিকে গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচের শেষ ওভারে বল হাতে নিয়ে দলকে এনে দেন অবিশ্বাস্য জয়। দুবারই শেষ ওভারে তিন উইকেটের ক্যারিশমা দেখান এ স্বদেশি অফস্পিনার।
মুশফিকুর রহীম
রান ৩৪১ গড় ৩৭.৮৮
এবারের বিপিএলে ১২ ম্যাচে তার সংগ্রহ ৩৪১ রান। এতে তার রয়েছে দুটি ফিফটি। উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে মুশফিকের রয়েছে ৭টি ডিসমিসাল।
সাকিব আল হাসান
রান ২২৬ উইকেট ১৩
আসরে ব্যাট হাতে অর্ধশতকের দেখা পাননি সাকিব আল হাসান। তবে ২১.৪০ গড়ে তার সংগ্রহ ২১৪ রান। বল হাতে যথারীতি সাশ্রয়ী এ বাঁ-হাতি স্পিনারের শিকার ১১ উইকেট। তার ইকোনমি গড় ৬.৭৮।
মোসাদ্দেক হোসেন
রান ৩০৪ গড় ৩৩.৭৭
এবারের বিপিএলে লেজের দিকে ব্যাট হাতে নিয়মিত নৈপুণ্য দেখান তরুণ এ স্বদেশি তারকা। আসরের ১৩ ম্যাচে তার রানের গড় ৩৭.৩৭।
অফস্পিন বোলিংয়ে আসরে তার শিকার দুই উইকেট।
সাব্বির রহমান
রান ৩৭৭ সর্বোচ্চ ১২২
আসরের সবচেয়ে লম্বা ইনিংসটি দেখা গেছে সাব্বিরের ব্যাটে। এবারের বিপিএলের একমাত্র সেঞ্চুরিটি ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানের। বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ১২২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ওই ইনিংসে সাব্বির হাঁকান ৯টি চার ও ৯টি ছক্কা। বিপিএল ইতিহাসে এক ইনিংসে বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বাধিক ছক্কার নজির এটি।
শফিউল ইসলাম
উইকেট ১৮ গড় ১৮.৩৮
স্বদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বাধিক ১৮ উইকেটের কৃতিত্ব খুলনা টাইটানসের এ ডানহাতি পেসারের। আসরে দুইবার ইনিংসে চার উইকেটের কৃতিত্ব দেখানো একমাত্র স্বদেশি বোলার তিনি। আসরে এমন অপর কৃতিত্বটি একই দলের পাকিস্তানি পেসার জুনাইদ খানের।
মোহাম্মদ শহীদ
উইকেট ১৫ ইকোনমি ৬.৮৮
আসরে বল হাতে ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখান তিনি। ঢাকা ডায়নামাইটসের বল হাতে মাত্র ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট নেন এ স্বদেশি পেসার। তবে ইনজুরির কারণে আসর থেকে ছিটকে যেতে হয় তাকে।
আরাফাত সানি
উইকেট ১৩ ইকোনমি ৬.২৯
আসরের অন্যতম সাশ্রয়ী ইকোনমি গড়টা এ বাঁহাতি স্পিনারের। আর বিপিএল ইতিহাসে এক ইনিংসে সবচেয়ে সাশ্রয়ী বোলিংয়ের রেকর্ডটাও তার। এবারের বিপিএলে খুলনার বিপক্ষে ম্যাচে বল হাতে ২.৪ ওভারের স্পেলে কোনো রান না দিয়ে তিন উইকেট নেন সানি।
ফরহাদ রেজা (দ্বাদশ)
১৪ উইকেট ১০৪ রান
আসরের গুরুত্বপূর্ণ এক লড়াইয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ৪৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন ফরহাদ। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচেও গুরত্বপূর্ণ সময়ে ১১ বলে করেন ১৮ রান। আর নিজের আসরসেরা নৈপুণ্যে ফাইনালে ৪ ওভারের স্পেলে ২৮ রানে নেন তিন উইকেট।