প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বড়বিল, ডিকশি বিল ও চলনবিলসহ আশপাশের বিভিন্ন স্পটে অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার করা হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে লইসেন্সধারী বন্দুক দিয়ে অতিথি পাখি শিকার করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করারও অভিযোগ উঠেছে।
আবার অনেকে ফাঁদ পেতেও পাখি শিকার করে অর্থ উপার্জন করছেন। এভাবে পাখি শিকারের মহোৎসব চলতে থাকলে এক সময় বাংলাদেশে অতিথি পাখির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না বলেও আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
বিল এলাকায় বসবাসকারীরা জানিয়েছেন, গত অক্টোবর হতে প্রতিদিন ভোরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ১০-১২ টি গ্রুপে ভাগ হয়ে লাইসেন্স করা বন্দুক নিয়ে শিকারিরা চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় অতিথি পাখি শিকার করছেন। তাড়াশ এলাকার কৃষক আব্দুল আজিজ, চাটমোহরের হান্ডিয়াল এলাকার আকমল হোসেন, বড়াইগ্রামের আব্দুল জলিলসহ অন্য এলাকাবাসী জানান, বিগত কয়েক মাস ধরে শিকারিরা বিল এলাকায় চখা, লাল শিড়ি, বোতক, সরালি, চায়না হাঁস, রাজহাঁস, নাকেলি, কাচিচুড়া, দিঘীরি, সাড়শ, সাইকাক, চা-পাখি, সাদা হাঁস, বকসহ বিভিন্ন প্রকার দেশি ও অতিথি পাখি শিকার করে যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো শিকারি শিকার করা পাখি বহন করতে না পারায় স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করছেন।
এলাকাবাসী আরো জানান, পাখি শিকারে সরকারে বাধা নিষেধ থাকলেও প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এসব পাখি শিকার করা হচ্ছে। অথচ এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। এলাকাবাসী পাখি শিকার বন্ধে জরুরী ভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে দাবি জানিয়েছেন।