ঢাকা ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরের বাতান ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন কৃষকেরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬
  • ৪২৮ বার

হাওরের বাতান ঘরে ফিরছে কৃষক। গ্রাম থেকে গহীন হাওরের বুকে খরের ছাউনি দিয়ে তৈরি ছোট ঘরকে বাতান বলে। যে ঘরে কৃষক অবস্থান করে। সারা দিন জমিতে কাজ করে। গবাদি পশু চড়ায়।

হাওরের পানি শেষ হয় কার্তিক মাসের শেষে। এ সময় কিশোরগন্জ জেলার সদর, নান্দাইল, করিমগন্জ, হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, ভৈরব ও নিকলী উপজেলার হাজারো কৃষক জোয়ানশাহী হাওরের বাতানে ফিরে।

গ্রাম আর হাওরের দূরত্ব বেশি হওয়ায় কৃষক বাতানকে অস্থায়ী নিবাস করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ধূলদিয়া নদীর ঘাট থেকে প্রতিদিন ট্রলার ভর্তি বাতান ঘর নিয়ে হাওরের উদ্দেশে ছুটছে।

বাতান ঘরের বাসিন্দাদের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। কিশোরগন্জ সদর থানার দানাপাটুলী ইউনিয়নের কালিয়ারকান্দা গ্রামের ইসমাঈলের সাথে। তিনি বলেন, “দাদার আমল থাইক্যা ভাটিত গিরস্তি করতাছি”। এসকল বাতান ঘরে যারা থাকছে তাদের কষ্ট-আনন্দ দুটোই আছে। ফসল ভালো হলে আনন্দের সীমা থাকে না। খরা আর অকাল বন্যায় ফসল ভেসে গেলে কষ্টেরও শেষ নেই।

এক সময় বাতান ঘরে গরু রাখা হলেও ডাকাতের ভয়ে রাখতে পারে না। এ জন্য দিনে দিনে কমছে হাওরে গরু পালন। নিরাপত্তা দিতে পারলে বাতান ঘর হতে পারে দুগ্ধ খামারের ভাণ্ডার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হাওরের বাতান ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন কৃষকেরা

আপডেট টাইম : ১২:১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬

হাওরের বাতান ঘরে ফিরছে কৃষক। গ্রাম থেকে গহীন হাওরের বুকে খরের ছাউনি দিয়ে তৈরি ছোট ঘরকে বাতান বলে। যে ঘরে কৃষক অবস্থান করে। সারা দিন জমিতে কাজ করে। গবাদি পশু চড়ায়।

হাওরের পানি শেষ হয় কার্তিক মাসের শেষে। এ সময় কিশোরগন্জ জেলার সদর, নান্দাইল, করিমগন্জ, হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, ভৈরব ও নিকলী উপজেলার হাজারো কৃষক জোয়ানশাহী হাওরের বাতানে ফিরে।

গ্রাম আর হাওরের দূরত্ব বেশি হওয়ায় কৃষক বাতানকে অস্থায়ী নিবাস করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ধূলদিয়া নদীর ঘাট থেকে প্রতিদিন ট্রলার ভর্তি বাতান ঘর নিয়ে হাওরের উদ্দেশে ছুটছে।

বাতান ঘরের বাসিন্দাদের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। কিশোরগন্জ সদর থানার দানাপাটুলী ইউনিয়নের কালিয়ারকান্দা গ্রামের ইসমাঈলের সাথে। তিনি বলেন, “দাদার আমল থাইক্যা ভাটিত গিরস্তি করতাছি”। এসকল বাতান ঘরে যারা থাকছে তাদের কষ্ট-আনন্দ দুটোই আছে। ফসল ভালো হলে আনন্দের সীমা থাকে না। খরা আর অকাল বন্যায় ফসল ভেসে গেলে কষ্টেরও শেষ নেই।

এক সময় বাতান ঘরে গরু রাখা হলেও ডাকাতের ভয়ে রাখতে পারে না। এ জন্য দিনে দিনে কমছে হাওরে গরু পালন। নিরাপত্তা দিতে পারলে বাতান ঘর হতে পারে দুগ্ধ খামারের ভাণ্ডার।