জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু মানবজাতির জন্য বিপজ্জনক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ঝুঁকি মোকাবেলায় প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আয়োজিত পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে দক্ষিণ এশিয়া জুডিশিয়াল কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ অহ্বান জানান।
আব্দুল হামিদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক ব্যাপার। কোনো একক দেশ কিংবা একটি অঞ্চল এককভাবে এ তীব্র সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
পরিবেশ ও পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে বিশ্ব নেতাদের কিয়োটো প্রটোকল অ্যান্ড প্যারিস এগ্রিমেন্টের কথা উল্লেখ করে হামিদ বলেন, সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন ও অঙ্গীকারগুলো কাজে পরিণত করার সময় এসেছে।
সংবিধানের সৃজনশীল উদ্ভাবনী ব্যাখ্যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট পরিবেশ সংরক্ষণ ও রক্ষা বিষয়ক মামলাগুলোর অর্থপূর্ণ বিচারে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্টকারী কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় দেশের বিচার ব্যবস্থা খুবই সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্বতন্ত্র পরিবেশ আদালত ও সাংবাধানিক প্রতিকার ব্যবস্থা ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিচার বিভাগ।
দক্ষিণ এশিয়ান জুডিশিয়ারিও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানান আব্দুল হামিদ।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষর ও অনুসমর্থনকারী অন্যতম প্রথম দেশ।
বাংলাদেশ প্রথম কোনো দেশ যেটি নিজস্ব সম্পদ দিয়ে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ড গঠন করেছে। সম্মেলন থেকে এমন সব প্রস্তাব বেরিয়ে আসবে যেগুলোকে পরিবেশ রক্ষায় প্রায়োগিক পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিয়া, পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও এডিবির জেনারেল কনসাল ক্রিস্টোফার স্টিফেনস।