শতভাগ ফেল এবং একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি না হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ২১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) এ কে এম জাকির হোসেন ভূঞা স্বাক্ষরিত পরিপত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরকে (মাউশি) এসব নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতির পর শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের অনুমোদন বাতিল এবং যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ২০১৬ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি, সে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও বন্ধ করার বিষয়ে মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর এবং শিক্ষা বোর্ডসমূহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
পরিপত্রে আরো বলা হয়, যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিম্নমাধ্যমিক পর্যায় অনুমোদনপ্রাপ্ত, সে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের নিম্নমাধ্যমিকের পরবর্তী স্তরের অনুমোদন, নতুন কলেজ বা একাদশ শ্রেণি খোলার ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের অনুমতি ও স্থাপনের বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পাঠদানের ক্ষেত্রে যেখানে প্রাপ্যতার তুলনায় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি আছে সেখানে নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে অনগ্রসর, চরাঞ্চল, দুর্গম এলাকার সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট আট হাজার ২৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিলো ৩৫টি। এছাড়া গত দুই বছর ধরে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় ১৯৪টি প্রতিষ্ঠানে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি।