ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্বল ৫ ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে প্রশাসক বসাল বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৫ বার

শরিয়াভিত্তিক দুর্বল পাঁচ ব্যাংক একীভূত করে একটি বৃহৎ ইসলামী ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোকে অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ব্যাংকগুলোর বোর্ড ভেঙে দিয়ে প্রশাসক বসিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ( এমডি) চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

অকার্যকর ঘোষণা করা ব্যাংকগুলো হলো এক্সিম, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, ‘আজ থেকে এই ৫ ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক মার্জার প্রক্রিয়া শুরু হলো। এ লক্ষ্যে সকালে ব্যাংকগুলোকে অকার্যকর ঘোষণা করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একীভূত হওয়া ব্যাংকটি প্রথমে সরকারি হবে। তবে চলবে বেসরকারিভাবে। এই ব্যাংক হবে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক। কারণ ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।’

আমানতকারীরা এই ব্যাংকে আস্থা রাখবেন এমনটি প্রত্যাশা করে গভর্নর বলেন, ‘কারো কোনো ভয় নেই। টাকা তুলে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এখানে আমানত রাখলে বাজার রেটে সুদ দেওয়া হবে।’

একীভূত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ১ থেকে দুই বছর লাগবে এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘যত দ্রত সম্ভব একীভূত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’

এর আগে গত ৯ অক্টোবর সরকারি মালিকানাধীন ইসলামি ব্যাংক গঠনের অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তহয়। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ধারাবাহিকভাবে খারাপ হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তারল্য সংকট, বিশাল অঙ্কের শ্রেণিকৃত ঋণ, প্রভিশন ঘাটতি এবং মূলধন ঘাটতি— এসব কারণে ব্যাংকগুলো কার্যত দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছেছে। অনেকবার তারল্য সহায়তা দেওয়ার পরও এই ব্যাংকগুলোর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ধারাবাহিকভাবে খারাপ হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তারল্য সংকট, বিশাল অঙ্কের শ্রেণিকৃত ঋণ, প্রভিশন ঘাটতি এবং মূলধন ঘাটতি-এসব কারণে ব্যাংকগুলো কার্যত দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছেছে। অনেকবার তারল্য সহায়তা দেওয়ার পরও এই ব্যাংকগুলোর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দুর্বল ৫ ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে প্রশাসক বসাল বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেট টাইম : ১০:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

শরিয়াভিত্তিক দুর্বল পাঁচ ব্যাংক একীভূত করে একটি বৃহৎ ইসলামী ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোকে অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ব্যাংকগুলোর বোর্ড ভেঙে দিয়ে প্রশাসক বসিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ( এমডি) চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

অকার্যকর ঘোষণা করা ব্যাংকগুলো হলো এক্সিম, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, ‘আজ থেকে এই ৫ ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক মার্জার প্রক্রিয়া শুরু হলো। এ লক্ষ্যে সকালে ব্যাংকগুলোকে অকার্যকর ঘোষণা করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একীভূত হওয়া ব্যাংকটি প্রথমে সরকারি হবে। তবে চলবে বেসরকারিভাবে। এই ব্যাংক হবে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক। কারণ ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।’

আমানতকারীরা এই ব্যাংকে আস্থা রাখবেন এমনটি প্রত্যাশা করে গভর্নর বলেন, ‘কারো কোনো ভয় নেই। টাকা তুলে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এখানে আমানত রাখলে বাজার রেটে সুদ দেওয়া হবে।’

একীভূত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ১ থেকে দুই বছর লাগবে এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘যত দ্রত সম্ভব একীভূত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’

এর আগে গত ৯ অক্টোবর সরকারি মালিকানাধীন ইসলামি ব্যাংক গঠনের অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তহয়। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ধারাবাহিকভাবে খারাপ হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তারল্য সংকট, বিশাল অঙ্কের শ্রেণিকৃত ঋণ, প্রভিশন ঘাটতি এবং মূলধন ঘাটতি— এসব কারণে ব্যাংকগুলো কার্যত দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছেছে। অনেকবার তারল্য সহায়তা দেওয়ার পরও এই ব্যাংকগুলোর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ধারাবাহিকভাবে খারাপ হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তারল্য সংকট, বিশাল অঙ্কের শ্রেণিকৃত ঋণ, প্রভিশন ঘাটতি এবং মূলধন ঘাটতি-এসব কারণে ব্যাংকগুলো কার্যত দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছেছে। অনেকবার তারল্য সহায়তা দেওয়ার পরও এই ব্যাংকগুলোর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।