ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেষ হলো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ, জুলাই সনদ নিয়ে কাটেনি জটিলতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৬ বার

শেষ হলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ। তবে, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ নিয়ে কাটেনি জটিলতা। সরকার চাইলে সনদের সুপারিশ অনুযায়ী এখনও জটিলতা কাটানোর সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠন হয় ৭ সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপরই সংবিধান, নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করে কমিশন। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন দল সংস্কার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে। দলগুলোর সাথে আলোচনার ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশন প্রস্তুত করে বহুল কাঙ্খিত জুলাই সনদ।

গত ১৭ অক্টোবর এতে সই করে বিএনপি-জামায়াতসহ ২৫ টি দল। পরে ২৮ তারিখ জুলাই সনদের সুপারিশমালা প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করে ঐকমত্য কমিশন।

জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট না রাখা, বাস্তবায়ন আদেশ, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে না পরে তা নিয়ে দেখা দেয় বিতর্ক। তবে, ঐকমত্য কমিশন যতটুকু তার প্রশংসাই করছেন বিশ্লেষকরা।

জুলাই সনদ ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি অবস্থানে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর আতঙ্ক রাজনীতির ভবিষ্যত নিয়ে। এ থেকে এখনও উত্তরণের পথ আছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ শাহান।

গণভোটসহ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার পদক্ষেপ নেবে। এক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে তাকিয়ে আছে দেশবাসী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শেষ হলো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ, জুলাই সনদ নিয়ে কাটেনি জটিলতা

আপডেট টাইম : ১০:২৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

শেষ হলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ। তবে, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ নিয়ে কাটেনি জটিলতা। সরকার চাইলে সনদের সুপারিশ অনুযায়ী এখনও জটিলতা কাটানোর সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠন হয় ৭ সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপরই সংবিধান, নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করে কমিশন। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন দল সংস্কার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে। দলগুলোর সাথে আলোচনার ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশন প্রস্তুত করে বহুল কাঙ্খিত জুলাই সনদ।

গত ১৭ অক্টোবর এতে সই করে বিএনপি-জামায়াতসহ ২৫ টি দল। পরে ২৮ তারিখ জুলাই সনদের সুপারিশমালা প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করে ঐকমত্য কমিশন।

জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট না রাখা, বাস্তবায়ন আদেশ, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে না পরে তা নিয়ে দেখা দেয় বিতর্ক। তবে, ঐকমত্য কমিশন যতটুকু তার প্রশংসাই করছেন বিশ্লেষকরা।

জুলাই সনদ ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি অবস্থানে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর আতঙ্ক রাজনীতির ভবিষ্যত নিয়ে। এ থেকে এখনও উত্তরণের পথ আছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ শাহান।

গণভোটসহ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার পদক্ষেপ নেবে। এক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে তাকিয়ে আছে দেশবাসী।