যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়ার দ্বিতীয় মুখোমুখি শান্তি আলোচন। তবে এ পর্যন্ত সব থেকে বড় বন্দী বিনিময় এবং প্রায় ৬ হাজার সৈন্যের মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে এক ঐতিহাসিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছে দু’দেশ।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল দ্বিতীয়বার মুখোমুখি আলোচনা বসেন।
সংক্ষিপ্ত এই আলোচনায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো ঐকমত্য না হলেও দুই দেশ আবারও যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
আলজাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধ চলাকালীন দুই দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় নতুন কিছু নয়, তবে এবার ইস্তাম্বুলে হওয়া আলোচনার ফলেই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বন্দী বিনিময়ের চুক্তি হয়েছে।
বৈঠকের পর উভয় পক্ষই জানিয়েছে, তারা ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী অসুস্থ, আহত ও তরুণ সৈন্যদের এই বিনিময়ের আওতায় আনবে। রাশিয়ান প্রতিনিধিদের ভাষ্য অনুযায়ী, এতে প্রায় ১,০০০ থেকে ১,২০০ সৈন্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে-যা এ যাবতকালে সবচেয়ে বড় বিনিময় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত মে মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম মুখোমুখি আলোচনার ফলস্বরূপ দুই দেশ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করেছিল। এই চুক্তির অধীনে, দেশ দুটি এক হাজার করে বন্দি মুক্তি দিয়েছিল।
তবে আলোচনা এখানেই থেমে নেই। ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল অভিযোগ করেছে, মস্কো এখনও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে। কিয়েভের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা জুন মাসের শেষ দিকে একটি সম্ভাব্য শান্তি সম্মেলনের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে যুদ্ধ বন্ধের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।
বর্তমানে ইস্তাম্বুলই এই আলোচনার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। উভয় দেশের মধ্যকার অন্যান্য কূটনৈতিক ইস্যুগুলোতে অগ্রগতি ধীরগতির হলেও, বন্দী বিনিময় একটি কার্যকর চ্যানেল হিসেবে নিজেদের গুরুত্ব প্রমাণ করছে।