১০০টি দেশের ১,৩০০ নারী ও পুরুষ মুসল্লিকে সৌদি সরকারের বিশেষ মেহমান হিসেবে হজে আমন্ত্রণ জানাতে রাজকীয় নির্দেশ দিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআযীজ। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি আজ শনিবার এই তথ্য জানায়।
বার্তা সংস্থাটি জানায়,খাদেমুল হারামাইনের ‘হজ, উমরাহ ও জিয়ারতের জন্য মেহমান কর্মসূচি’র আওতায় সৌদি ইসলামি বিষয়ক, দাওয়াহ ও হিদায়াহ মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। তবে তারা কোন দেশের নাগরিক তা এখনো খোলাসা করা হয়নি।
এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং কর্মসূচির প্রধান তত্ত্বাবধায়ক শায়খ ড. আবদুল লতীফ আলে আশশেইখ খাদেমুল হারামাইন ও যুবরাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই মহান বদান্যতা মুসলিম উম্মাহর প্রতি সৌদি নেতৃত্বের অঙ্গীকার এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতি দেশটির সুদৃঢ় অবস্থানের প্রতিফলন।
ড. আশশেইখ জানান, নির্দেশনার পরপরই মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিতে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক নানা আয়োজন থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে মক্কা ও মদিনার গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী ও ঐতিহাসিক স্থানসমূহ পরিদর্শন, দুই হারামের ইমাম ও শায়খদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ইত্যাদি—যা মেহমানদের আধ্যাত্মিক ও বৌদ্ধিক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করবে।
তিনি বলেন, এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় ও জ্ঞানী মুসলিম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সৌহার্দ্য, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং ইসলামি মূল্যবোধ প্রচারে সৌদি আরবের ভূমিকাকে জোরদার করা।
হিজরি ১৪১৭ সনে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১৪০টি দেশের প্রায় ৬৫ হাজার মুসল্লিকে সৌদি আরব মেহমান হিসেবে হজ করানোর সুযোগ দিয়েছে।
ড. আশশেইখ আরও বলেন, ইসলামের সেবা ও মুসলমানদের কল্যাণে সৌদি আরবের নির্বিচার অঙ্গীকার এই কর্মসূচির মাধ্যমে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। এটি সৌদি ভিশন ২০৩০-এর ইসলামি ও মানবিক লক্ষ্য পূরণের দিকেও একটি কার্যকর পদক্ষেপ।