টাঙ্গাইলের নাগরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও চারজন। আজ সোমবার উপজেলার মামুদ নগর ইউনিয়নের সুদামপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আব্দুল জব্বার সুদামপাড়া গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে। মো. বাদশা মিয়া উপজেলা বিএনপির তাঁতী, মৎস্যজীবি, উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক ও মামুদ নগর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে শরিকের সম্পত্তি নিতে ব্যর্থ হয়ে চাচাতো ভাইয়ের উপর এ হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হামলায় আহত হয়েছেন- রবিউল (২১), আজিজ (৩৫), আলী (৫৫) ও লাল হোসেন (৫০)।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে চাচাতো ভাই জব্বারের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে বিএনপি নেতা মো. বাদশা মিয়ার। সম্পত্তির বিষয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বাদশা মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে শরিকের সম্পত্তি নিজের নামে করার পায়তারা করেন। দলীয় পদ-পদবি থাকায় তিনি এলাকায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
গতকাল রবিবার মামলা সূত্রে আদালতে হাজিরা দিতে যায় বাদশা ও তার সহযোগীরা। ওই দিন রাতে বাদশা জব্বারের পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে বাদশা মিয়া তার দলবল নিয়ে জব্বারের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে।
এ সময় জব্বার মিয়াসহ রবিউল, আজিজ, আলী ও লাল হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হামলাকারিরা। পরে স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল জব্বারকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফারহানা আফরোজ জানান, জব্বার মিয়াকে হাসপালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’