স্যোশাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করাই কাল হলো পূজার।কারণ চুরি করা জামা পরে ছবি দিয়েছিলেন তিনি। আর সেই জামা দেখে চিনতে পেরে পুলিশে দ্বারস্থ হয় আসল মালিক।এরপরই পূজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঘটেছে এই ঘটনা।
দেশটির সংবাদমাধ্যম জানায়, মধ্যমগ্রামের এলআইসি টাউনশিপের বাসিন্দা আশিস দাশগুপ্তের বাসায় এই ঘটনা ঘটে। তার বাড়ির আলমারি থেকে দামি শাড়ি, গয়না চুরি হয়ে যাচ্ছিল। এ নিয়ে থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু চোর ধরা যায়নি।
তবে এবার সোশাল মিডিয়ার সূত্র ধরে চোর ধরা পড়ল। চুরির কিছুদিন পরেই চুরি করা দামী শাড়ি পরে বাড়ির গৃহকর্মী পূজা সর্দার ছবি আপলোড করেন হোয়াটসঅ্যাপ স্টোরিতে।সেই স্টোরির স্ক্রিনশট নিয়ে থানায় যান আশিসের স্ত্রী। তার ভিত্তিতে পূজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর শুধু ওই একটি চুরির ঘটনাই নয়। গত চার মাসে একটি সাইবার প্রতারণা-সহ মোট ৬টি চুরির রহস্য ভেদ করে পুলিশ। চুরি হওয়া সোনার গয়না, বাইক, স্কুটি-সহ সাইবার প্রতারণায় খোয়া যাওয়া ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৬৪ টাকা উদ্ধার করে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা পুষ্প বৈরাগ্য বলেন, গৃহকর্মীর উপর যথেষ্ট বিশ্বাস, ভরসা ছিল। সেই মেয়েই একদিন আলমারি থেকে প্রায় ৮০ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না চুরি করে পালায়। বিষয়টা কিছুটা আন্দাজ করেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপর পুলিশ তদন্ত চালিয়ে খোয়া যাওয়া ৮০ গ্রাম সোনার মধ্যে ৩৮ গ্রাম গয়নাই উদ্ধার করেছে।
এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া বলেন, ‘মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ খুব তৎপরতার সঙ্গে ছয়টি চুরির কিনারা করেছে। পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে উদ্ধার হওয়া সামগ্রীগুলো এদিন প্রকৃত গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও একটি সাইবার প্রতারণা মামলায় টাকা উদ্ধার করে গ্রাহককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।