ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

শিগগিরই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে, যারা পেশাদার সাংবাদিক তারাই পাবেন’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • ৩৩ বার

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘১৬৭ জনের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছিল, আমরা বলেছি এটা একটা মিসটেক’ হয়েছে।

শিগগিরই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, “অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড যারা জার্নালিস্ট (সাংবাদিক) তারাই পাবেন।”

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

শফিকুল আলম বলেন, “১৬৭ জনের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছিল, আমরা বলেছি এটা একটা মিসটেক। সে অনুযায়ী আমরা খুব দ্রুত অ্যাক্রিডিটেশনের জন্য নতুন কমিটি করেছি, নতুন নীতিমালা হয়েছে।”

নীতিমালাটা খুব সহজ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “নীতিমালাটা জার্নালিস্ট ফ্রেন্ডলি করা হয়েছে। আগে যেটা ছিল, অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিলে বিদেশে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হতো। সরকারের প্রসংশা করতে হবে, সরকারের বন্দনা করতে হবে। এখন এগুলো আমরা কিছু রাখিনি।”

তিনি বলেন, “আগে অ্যাক্রিডিটেশনের বড় সমস্যা ছিল, এটা নিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা কাজ করতেন। অনেক এমপির এ রকম জার্নালিস্টের কার্ড ছিল। আওয়ামী লীগের অনেক লিডার এই কার্ড নিতেন। কারণ ওই কার্ড নিয়ে তাদের জন্য সচিবালয়ে ঢোকা সহজ। ওখানে তারা অনেক ধরনের লবিং করতে পারেন। জার্নালিস্টের কার্ডটা তাকে ইজি এক্সেস দিতো। আমরা সেই জায়গা থেকে সরে এসে চেষ্টা করছি যারা জার্নালিস্ট, যারা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট এবং যাদের সত্যিকার অর্থে সচিবালয়ে যেতে হয়, তারাই যেন কার্ডগুলো পান। সে ক্ষেত্রে আমরা যতটা স্বচ্ছতা রাখা দরকার রাখবো।”

গত ৯ মাসে গণমাধ্যম অভূতপূর্ব স্বাধীনতা ভোগ করেছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, “কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়েছেন, তা গণমাধ্যমের মালিক নিজেকে রক্ষায় ছাটাই করছেন। তাদের চাকরিচ্যুত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি করেননি। গণমাধ্যম স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাক সরকার তা চায়। তথ্য মন্ত্রণালয় ও প্রেস সচিব কোনও বাধা দেয়নি স্বাধীন গণমাধ্যমে।”

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন– প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণমাধ্যম চাই এর আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সচিবালয়-কেন্দ্রিক সকল সংগঠন বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট

শিগগিরই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে, যারা পেশাদার সাংবাদিক তারাই পাবেন’

আপডেট টাইম : ০৫:০৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘১৬৭ জনের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছিল, আমরা বলেছি এটা একটা মিসটেক’ হয়েছে।

শিগগিরই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, “অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড যারা জার্নালিস্ট (সাংবাদিক) তারাই পাবেন।”

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

শফিকুল আলম বলেন, “১৬৭ জনের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছিল, আমরা বলেছি এটা একটা মিসটেক। সে অনুযায়ী আমরা খুব দ্রুত অ্যাক্রিডিটেশনের জন্য নতুন কমিটি করেছি, নতুন নীতিমালা হয়েছে।”

নীতিমালাটা খুব সহজ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “নীতিমালাটা জার্নালিস্ট ফ্রেন্ডলি করা হয়েছে। আগে যেটা ছিল, অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিলে বিদেশে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হতো। সরকারের প্রসংশা করতে হবে, সরকারের বন্দনা করতে হবে। এখন এগুলো আমরা কিছু রাখিনি।”

তিনি বলেন, “আগে অ্যাক্রিডিটেশনের বড় সমস্যা ছিল, এটা নিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা কাজ করতেন। অনেক এমপির এ রকম জার্নালিস্টের কার্ড ছিল। আওয়ামী লীগের অনেক লিডার এই কার্ড নিতেন। কারণ ওই কার্ড নিয়ে তাদের জন্য সচিবালয়ে ঢোকা সহজ। ওখানে তারা অনেক ধরনের লবিং করতে পারেন। জার্নালিস্টের কার্ডটা তাকে ইজি এক্সেস দিতো। আমরা সেই জায়গা থেকে সরে এসে চেষ্টা করছি যারা জার্নালিস্ট, যারা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট এবং যাদের সত্যিকার অর্থে সচিবালয়ে যেতে হয়, তারাই যেন কার্ডগুলো পান। সে ক্ষেত্রে আমরা যতটা স্বচ্ছতা রাখা দরকার রাখবো।”

গত ৯ মাসে গণমাধ্যম অভূতপূর্ব স্বাধীনতা ভোগ করেছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, “কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়েছেন, তা গণমাধ্যমের মালিক নিজেকে রক্ষায় ছাটাই করছেন। তাদের চাকরিচ্যুত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি করেননি। গণমাধ্যম স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাক সরকার তা চায়। তথ্য মন্ত্রণালয় ও প্রেস সচিব কোনও বাধা দেয়নি স্বাধীন গণমাধ্যমে।”

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন– প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণমাধ্যম চাই এর আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।