ঢাকা ০৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছেই এক জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • ১৯ বার

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলা থামছে না। নতুন করে এ অঞ্চলে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।

চিকিৎসা সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরায়েলি-আমেরিকান জিম্মি এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

চিকিৎসা সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি ড্রোন ও বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল মূলত বেসামরিক ও আশ্রয়প্রার্থী জনগণ।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে একদল সাধারণ মানুষের ওপর ড্রোন হামলায় দুজন নিহত এবং অনেকে আহত হন। একই শহরে আরও একজন ড্রোন হামলায় এবং অপর একজন আগের হামলায় আহত হয়ে মারা যান।

এছাড়া গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে আশ্রয়প্রার্থীদের একটি তাঁবু লক্ষ্য করে চালানো হামলায় একজন ফিলিস্তিনি এবং তার ছেলে নিহত হন। একই শহরের পশ্চিমাংশে আরেকটি তাঁবুতে ড্রোন হামলায় দুই শিশুসহ চারজন নিহত হন এবং অনেকে আহত হন।

খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায়, আসদা শহরের কাছে দুটি তাঁবুতে পৃথক হামলায় চারজন নিহত হন, যাদের মধ্যে দুই শিশু ছিল। একই এলাকায় আরেকটি তাঁবুতে হামলায় আরও এক শিশু মারা যায়। পাশাপাশি, একটি সাইকেলের ওপর ড্রোন হামলায় এক তরুণ নিহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব খান ইউনিসের আবাসান আল-কাবিরা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী তীব্র গোলা ও গুলিবর্ষণ চালিয়েছে। গাজা শহরে গোলাবর্ষণে একটি শিশুর মৃত্যু হয় এবং উত্তরের জাবালিয়ায় আরেকজন মারাত্মক আহত হন।

এদিকে খান ইউনিসে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। গাজা শহরে আরেক হামলায় ৫ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে একটি মেয়ে শিশুও রয়েছে।

এছাড়া গাজা শহরের আল-তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের মধ্যে একাধিক আবাসিক ভবন ধ্বংস করছে। একইসঙ্গে জাবালিয়ার ওল্ড গাজা স্ট্রিটের একটি মসজিদেও বিমান হামলা চালানো হয়, যেখানে দুজন আহত হয়েছেন।

এদিকে এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আলোচনা পুনরায় চালু করতে এবং গাজা উপত্যকায় আমাদের জনগণের কাছে সাহায্য ও ত্রাণ সরবরাহ পৌঁছানোর অংশ হিসেবে মার্কিন ইসরায়েলি সৈনিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়া হবে।

গত ৭০ দিন ধরে গাজায় খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানিসহ সমস্ত সাহায্য প্রবেশে বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এদিন তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা করে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।

হামাসের হামলার প্রতিশোধে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৫২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছেই এক জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস

আপডেট টাইম : ১১:০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলা থামছে না। নতুন করে এ অঞ্চলে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।

চিকিৎসা সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরায়েলি-আমেরিকান জিম্মি এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

চিকিৎসা সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি ড্রোন ও বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল মূলত বেসামরিক ও আশ্রয়প্রার্থী জনগণ।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে একদল সাধারণ মানুষের ওপর ড্রোন হামলায় দুজন নিহত এবং অনেকে আহত হন। একই শহরে আরও একজন ড্রোন হামলায় এবং অপর একজন আগের হামলায় আহত হয়ে মারা যান।

এছাড়া গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে আশ্রয়প্রার্থীদের একটি তাঁবু লক্ষ্য করে চালানো হামলায় একজন ফিলিস্তিনি এবং তার ছেলে নিহত হন। একই শহরের পশ্চিমাংশে আরেকটি তাঁবুতে ড্রোন হামলায় দুই শিশুসহ চারজন নিহত হন এবং অনেকে আহত হন।

খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায়, আসদা শহরের কাছে দুটি তাঁবুতে পৃথক হামলায় চারজন নিহত হন, যাদের মধ্যে দুই শিশু ছিল। একই এলাকায় আরেকটি তাঁবুতে হামলায় আরও এক শিশু মারা যায়। পাশাপাশি, একটি সাইকেলের ওপর ড্রোন হামলায় এক তরুণ নিহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব খান ইউনিসের আবাসান আল-কাবিরা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী তীব্র গোলা ও গুলিবর্ষণ চালিয়েছে। গাজা শহরে গোলাবর্ষণে একটি শিশুর মৃত্যু হয় এবং উত্তরের জাবালিয়ায় আরেকজন মারাত্মক আহত হন।

এদিকে খান ইউনিসে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। গাজা শহরে আরেক হামলায় ৫ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে একটি মেয়ে শিশুও রয়েছে।

এছাড়া গাজা শহরের আল-তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের মধ্যে একাধিক আবাসিক ভবন ধ্বংস করছে। একইসঙ্গে জাবালিয়ার ওল্ড গাজা স্ট্রিটের একটি মসজিদেও বিমান হামলা চালানো হয়, যেখানে দুজন আহত হয়েছেন।

এদিকে এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আলোচনা পুনরায় চালু করতে এবং গাজা উপত্যকায় আমাদের জনগণের কাছে সাহায্য ও ত্রাণ সরবরাহ পৌঁছানোর অংশ হিসেবে মার্কিন ইসরায়েলি সৈনিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়া হবে।

গত ৭০ দিন ধরে গাজায় খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানিসহ সমস্ত সাহায্য প্রবেশে বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এদিন তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা করে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।

হামাসের হামলার প্রতিশোধে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৫২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি।