ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাল আঙুরে রঙিন স্বপ্ন বুনছেন এপিল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • ৭ বার

যশোরের চৌগাছায় প্রথমবারের মতো লাল আঙুর চাষ করে সফল হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়াপ্রবাসী কামরুজ্জামান এপিল। উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের ওই প্রবাসী কৃষকের দুই বিঘা জমির আঙুরের বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে লাল আঙুর।

দীর্ঘদিন দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসজীবন কাটানো এপিল দেশে ফিরে নিজ গ্রামের মাঠে আঙুর চাষের উদ্যোগ নেন। ২০২৪ সালের জুন মাসে তিনি বাইক্লো, এপোলো ও ব্ল্যাক ম্যাজিক—এই তিন জাতের আঙুরের চারা রোপণ করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কামরুজ্জামান নিজেই তাঁর জমিতে আঙুরের পরিচর্যায় ব্যস্ত। তিনি জানান, গাছগুলো বড় হওয়ার পর সিমেন্টের খুঁটি, তার ও বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করা হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে গাছে ফুল আসে এবং এপ্রিল থেকে ফল ধরতে শুরু করে। বর্তমানে গাছের মাচাগুলো থোকায় থোকায় লাল আঙুরে ভরে গেছে।

এপিল বলেন, ‘মে মাসের শেষের দিকে আঙুর পাকতে শুরু করবে। আশা করছি যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতে পারব। দেশে এখন অনেক জায়গায় আঙুরের চাষ হচ্ছে। এভাবে চাষ বাড়লে বিদেশ থেকে আর আঙুর আনতে হবে না, বরং আমাদের অর্থনৈতিকভাবে লাভ হবে।’

চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসাব্বির হুসাইন বলেন, ‘এপিলের বাগানে যেসব আঙুর ধরেছে, সেগুলো সিডলেস (বিচিবিহীন)। আমাদের এলাকায় এর আগে ড্রাগনসহ নানা বিদেশি ফলের চাষ হচ্ছিল। গত বছর থেকে আঙুরের চাষও শুরু হয়েছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

লাল আঙুরে রঙিন স্বপ্ন বুনছেন এপিল

আপডেট টাইম : ১০:৪৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

যশোরের চৌগাছায় প্রথমবারের মতো লাল আঙুর চাষ করে সফল হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়াপ্রবাসী কামরুজ্জামান এপিল। উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের ওই প্রবাসী কৃষকের দুই বিঘা জমির আঙুরের বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে লাল আঙুর।

দীর্ঘদিন দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসজীবন কাটানো এপিল দেশে ফিরে নিজ গ্রামের মাঠে আঙুর চাষের উদ্যোগ নেন। ২০২৪ সালের জুন মাসে তিনি বাইক্লো, এপোলো ও ব্ল্যাক ম্যাজিক—এই তিন জাতের আঙুরের চারা রোপণ করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কামরুজ্জামান নিজেই তাঁর জমিতে আঙুরের পরিচর্যায় ব্যস্ত। তিনি জানান, গাছগুলো বড় হওয়ার পর সিমেন্টের খুঁটি, তার ও বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করা হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে গাছে ফুল আসে এবং এপ্রিল থেকে ফল ধরতে শুরু করে। বর্তমানে গাছের মাচাগুলো থোকায় থোকায় লাল আঙুরে ভরে গেছে।

এপিল বলেন, ‘মে মাসের শেষের দিকে আঙুর পাকতে শুরু করবে। আশা করছি যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতে পারব। দেশে এখন অনেক জায়গায় আঙুরের চাষ হচ্ছে। এভাবে চাষ বাড়লে বিদেশ থেকে আর আঙুর আনতে হবে না, বরং আমাদের অর্থনৈতিকভাবে লাভ হবে।’

চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসাব্বির হুসাইন বলেন, ‘এপিলের বাগানে যেসব আঙুর ধরেছে, সেগুলো সিডলেস (বিচিবিহীন)। আমাদের এলাকায় এর আগে ড্রাগনসহ নানা বিদেশি ফলের চাষ হচ্ছিল। গত বছর থেকে আঙুরের চাষও শুরু হয়েছে।’