অবশেষে বেঁচে থাকার ভরসা পেয়েছে হবিগঞ্জে জোড়া লাগানো অবস্থায় জন্ম নেওয়া নবজাতক ময়না-টিয়া। হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া জোড়া লাগানো ওই দুই নবজাতকের চিকিৎসার জন্য রবিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসন ও যমুনা টিভির উদ্যোগে তাদের এখন ঠাঁই হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২ দিন ধরে ওই দুই শিশুর উন্নত চিকিৎসার জন্য মানবিক আবেদন জানিয়ে পত্র-পত্রিকা ও ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে চালানো হয় প্রচারণা।
এতে সাড়া পড়ে সুশীল সমাজে। এগিয়ে আসেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আলহাজ মো. আবু জাহির ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সফিউল আলম।
ব্যক্তিগতভাবে এমপি আবু জাহির ও যমুনা টিভির পক্ষ থেকে ওই দুই শিশুর উন্নত চিকিৎসার জন্য অনুদান হিসেবে দেয়া হয় ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে ওই শিশুদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে নিজ গ্রাম মুরাদপুরের লোকজনও। অনেকেই চাঁদা তুলে দিয়েছেন আর্থিক সাহায্য।
উল্লেখ্য, মাথা দুটি, হাত ও পা চারটি কিন্তু পেট ও বুক জোড়া লাগানো। গত মঙ্গলবার হবিগঞ্জ শহরের নিউ লাইফ কেয়ার হাসপাতালে এমন দুটি মেয়ে শিশুর জন্ম দেন বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের স্ত্রী জোসনা বেগম।
পরে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. কায়সার রহমান ও জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও পেডিয়াট্রিক সার্জন ডা. এমএ মুমিন রাসেল শিশুদের ঢাকায় নিয়ে অপারেশনের মাধ্যমে পৃথক করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন।
এ সময় শিশুদের বাবা মায়ের মনে স্বপ্ন এলেও চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় দরিদ্র আব্দুল জলিলের পক্ষে তা অসম্ভব হয়ে পড়ে। পরে এনিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে আশার আলো দেখা দেয় শিশুদের জীবনে।