ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন শুল্কের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়ে কী বলছেন ট্রাম্প

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৪:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ১২ বার

নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই বিশ্বের অর্থনীতে একটি ধাক্কা লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই নানা মন্তব্য করছেন। স্থগিতাদেশ চেয়েছেন অনেকেই।

কিন্তু নতুন শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য অন্যান্য দেশকে সুযোগ দিতে শুল্ক আরোপের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার কথা ভাবছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমন একটি খবর প্রচারিত হয় যে, ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত নতুন শুল্কের ওপর ওয়াশিংটন ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ আরোপ করবে। তবে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে সেই খবর প্রত্যাখ্যান করেছে।

স্থগিতাদেশের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তার ওভাল অফিসে সাংবাদিকেরা সরাসরি প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারটি (শুল্কের ওপর স্থগিতাদেশ) নিয়ে ভাবছি না। পৃথিবীর অনেক দেশ আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে আসছে, অনেক দেশের সঙ্গে ন্যায্য চুক্তি হতে চলেছে।’

মঙ্গলবারের মধ্যে বেইজিং তাদের প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা থেকে সরে না এলে চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলেও এ সময় হুমকি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি বলছে, ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির জেরে সারা বিশ্বে শেয়ার বাজারে পতন নেমে এসেছে। ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন। পাল্টা চীনও ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপায়।

এই ঘটনায় চীনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। গতকাল সোমবার তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, চীনকে মঙ্গলবারের মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে চীনের পণ্যে। শুধু তাই নয় চীনের সঙ্গে সব মিটিং বাতিল করা হবে। এককথায় চীন থেকে সরে যাবে আমেরিকা।

চীন আগেই ঘোষণা করেছিল, আমেরিকার পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে ১০ এপ্রিল থেকে। তার আগেই ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি। ফলে বিশ্বের দুই বড় অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করতে চলেছে।

ট্রাম্প অবশ্য শুধু চীনকে নয় অন্যান্য দেশকেও হুমকি দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘যদি কোনো দেশ আমাদের শুল্ক চাপানোর ওপর পাল্টা শুল্ক চাপায়, তাহলে একইভাবে নতুন করে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নতুন শুল্কের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়ে কী বলছেন ট্রাম্প

আপডেট টাইম : ১১:১৪:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই বিশ্বের অর্থনীতে একটি ধাক্কা লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই নানা মন্তব্য করছেন। স্থগিতাদেশ চেয়েছেন অনেকেই।

কিন্তু নতুন শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য অন্যান্য দেশকে সুযোগ দিতে শুল্ক আরোপের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার কথা ভাবছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমন একটি খবর প্রচারিত হয় যে, ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত নতুন শুল্কের ওপর ওয়াশিংটন ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ আরোপ করবে। তবে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে সেই খবর প্রত্যাখ্যান করেছে।

স্থগিতাদেশের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তার ওভাল অফিসে সাংবাদিকেরা সরাসরি প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারটি (শুল্কের ওপর স্থগিতাদেশ) নিয়ে ভাবছি না। পৃথিবীর অনেক দেশ আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে আসছে, অনেক দেশের সঙ্গে ন্যায্য চুক্তি হতে চলেছে।’

মঙ্গলবারের মধ্যে বেইজিং তাদের প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা থেকে সরে না এলে চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলেও এ সময় হুমকি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি বলছে, ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির জেরে সারা বিশ্বে শেয়ার বাজারে পতন নেমে এসেছে। ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন। পাল্টা চীনও ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপায়।

এই ঘটনায় চীনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। গতকাল সোমবার তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, চীনকে মঙ্গলবারের মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে চীনের পণ্যে। শুধু তাই নয় চীনের সঙ্গে সব মিটিং বাতিল করা হবে। এককথায় চীন থেকে সরে যাবে আমেরিকা।

চীন আগেই ঘোষণা করেছিল, আমেরিকার পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে ১০ এপ্রিল থেকে। তার আগেই ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি। ফলে বিশ্বের দুই বড় অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করতে চলেছে।

ট্রাম্প অবশ্য শুধু চীনকে নয় অন্যান্য দেশকেও হুমকি দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘যদি কোনো দেশ আমাদের শুল্ক চাপানোর ওপর পাল্টা শুল্ক চাপায়, তাহলে একইভাবে নতুন করে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হবে।’