সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতার ছুরিকাঘাতে আহত তরুণী খাদিজা বেগমের অপারেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের তার অপারেশন শুরু হয়।
নিউরো সার্জন এ এম রেজাউস সাত্তারের অধীনে তার অপারেশন শুরু হয়েছে। ছুরিকাঘাতে তরুণীর মাথার খুলি ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে।
স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিকাল চারটার পরে খাদিজার শারীরিক অবস্থা গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
সোমবার বিকালে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে খাদিজাকে ছুরিকাঘাতের পর তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাতে সিলেট থেকে ঢাকায় পাঠানো হয় তাকে।
হাসপাতালের একজন চিকিৎসক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খাদিজার মাথায় একের পর এক আঘাতের কারণে তার বেঁচে উঠার সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করছেন তারা। তাকে হাসপাতালের নিবিঢ় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
সোমবার বিকালে সিলেট মহিলা কলেজে খাদিজাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। তার প্রেমিক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা বদরুল ইসলাম এই হামলা করেছেন বলে অভিযোগ আছে। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে।
এই ঘটনার পর বদরুলকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। বদরুল আহত অবস্থায় এখন সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে এই ঘটনার বিচার চেয়ে সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন খাদিজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা বদরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন এবং আগামীকাল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, কলেজে এসে কোনো শিক্ষার্থী এভাবে আক্রমণের শিকার হবেন, সেটা মেনে নেয়া যায় না। আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এই ঘটনায় তারা আতঙ্কিত।