পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ুপরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিদ্যুৎ নিয়ে করা চুক্তিগুলো বাতিল করা অতটা সহজ নয়। যে চুক্তিগুলো করা হয়েছে তা থেকে বের হয়ে আসা অনেক ব্যয়বহুল। বাংলাদেশের সঙ্গে আদানিসহ অন্যান্য গ্রুপের অসম চুক্তি হয়েছে। নাইকো চুক্তি বাতিল করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে হয়েছে। তবুও অন্তর্বর্তী সরকার চ্যালেঞ্জটা নিয়েছে। এখন চুক্তিগুলো পর্যালোচনার মধ্যে আছে।
আজ বুধবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে দ্বিতীয় জ্বালানি সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।সম্মেলনের আয়োজক কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সমন্বিত জোট বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি) তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, জ্বালানি ভোগান্তি কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। বেসরকারি শিল্পগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে যাওয়ার কথা বলা হবে। জ্বালানিখাতের চুক্তিগুলো রিভিউ করার দরকার আছে। কৃষি অটোরিকশা ব্যবহার সোলারের মাধ্যমে করা যায় কিনা দেখা দরকার। বাংলাদেশের সঙ্গে যে অসম চুক্তিগুলো হয়েছে এর জন্য আমাদের অস্বাভাবিক ব্যয় বহন করতে হচ্ছে।
জ্বালানিবিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. ম তামিম বলেন, ২৬ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা। ২০৩০ সাল ৩০ হাজারে যাবে ১ হাজার সোলার, বাকিটা জীবাশ্ম জ্বালানি। ১২০০ বিলিয়ন ডলার পেনাল্টি দিতে হবে। নিউক্লিয়ার ৪০ বছর চলবে।
তিনি বলেন, ৭ হাজার মেগাওয়াট বেসলোড। তেলভিত্তিক নয়। গরমের দিনে আমাদের ১৩ হাজার মেগাওয়াট বেসলোড হয়। আমাদের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াট। ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দিয়ে যেতে হবে।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিডব্লিউজিইডির সদস্যসচিব হাসান মেহেদী। এটি সঞ্চালনা করেন কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্কের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং উপদেষ্টা বেনজীর আহমেদ ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যাপক ফাহমিদা হক।