ঢাকা ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মিলনমেলা বন্ধ ঘোষণা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২ বার

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মিলনমেলাসহ এলাকায় জনগণের সমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল-হরিপুরের ঐতিহ্যবাহী পাথর কালী মেলা আগামী শুক্রবার হওয়ার কথা ছিল।

রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার চাপাসার তাজিগাঁও সীমান্তের গ্রাম টেংরিয়ার গোবিন্দপুরের কুলিক নদীর পাড়ে প্রতি বছর এ ঐতিহ্যবাহী পাথর কালীর মেলাটি হয়। সেখানে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের দুই পাশে দুই দেশের প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার নারী-পুরুষ উপস্থিতি হন। ওই স্থানে এবার বিশৃঙ্খলা, মারামারিসহ অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কা রয়েছে মর্মে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী পাথর কালী মিলনমেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী পাথর কালী মিলনমেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে ওই দিন কাউকে সেখানে না যাওয়ার অনুরোধ করা হলো। এ ছাড়াও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মেলা ও কাঁটাতারের নিকটবর্তী এলাকায় জনসমাগম না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত ১ ডিসেম্বর রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সেদিন ওই মেলায় কাউকে না যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

উল্লেখ্য, কয়েক যুগ ধরে হরিপুর-রাণীশংকৈল উপজেলার সীমান্তবর্তী কুলিক নদীর ধারে কালীপূজার আয়োজন করে আসছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। শুরুতে এখানে একটি বড় কষ্টিপাথর দিয়ে তৈরি করা কালীর মূর্তিতে পূজা উদযাপিত হতো। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সেই মূর্তিটি চুরি হয়ে যায়। এরপর পাথরের মূর্তির আদলে আরেকটি মূর্তি তৈরি করে প্রতিবছর কালীপূজার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সেখানে বসে মেলা। পাথরে নির্মিত মূর্তির নামানুসারে মেলার নামকরণ হয় পাথর কালীর মেলা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মিলনমেলা বন্ধ ঘোষণা

আপডেট টাইম : ০৫:৫২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মিলনমেলাসহ এলাকায় জনগণের সমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল-হরিপুরের ঐতিহ্যবাহী পাথর কালী মেলা আগামী শুক্রবার হওয়ার কথা ছিল।

রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার চাপাসার তাজিগাঁও সীমান্তের গ্রাম টেংরিয়ার গোবিন্দপুরের কুলিক নদীর পাড়ে প্রতি বছর এ ঐতিহ্যবাহী পাথর কালীর মেলাটি হয়। সেখানে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের দুই পাশে দুই দেশের প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার নারী-পুরুষ উপস্থিতি হন। ওই স্থানে এবার বিশৃঙ্খলা, মারামারিসহ অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কা রয়েছে মর্মে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী পাথর কালী মিলনমেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী পাথর কালী মিলনমেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে ওই দিন কাউকে সেখানে না যাওয়ার অনুরোধ করা হলো। এ ছাড়াও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মেলা ও কাঁটাতারের নিকটবর্তী এলাকায় জনসমাগম না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত ১ ডিসেম্বর রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সেদিন ওই মেলায় কাউকে না যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

উল্লেখ্য, কয়েক যুগ ধরে হরিপুর-রাণীশংকৈল উপজেলার সীমান্তবর্তী কুলিক নদীর ধারে কালীপূজার আয়োজন করে আসছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। শুরুতে এখানে একটি বড় কষ্টিপাথর দিয়ে তৈরি করা কালীর মূর্তিতে পূজা উদযাপিত হতো। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সেই মূর্তিটি চুরি হয়ে যায়। এরপর পাথরের মূর্তির আদলে আরেকটি মূর্তি তৈরি করে প্রতিবছর কালীপূজার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সেখানে বসে মেলা। পাথরে নির্মিত মূর্তির নামানুসারে মেলার নামকরণ হয় পাথর কালীর মেলা।