আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর একে একে দলের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমান। দেশে আত্মগোপনে থাকা সাবেক সংসদ সদস্যসহ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন অসংখ্য নেতাকর্মী।
গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ একটানা ক্ষমতায় থাকাবস্থায় নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে যায় ছাত্রলীগ।
গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। এই নিষিদ্ধের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে যেসব আলোচনা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখার সভাপতি আতিকা বিনতে হোসাইন। জানা যায়, তার হয়রানিতে অতিষ্ঠ ছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের মিছিলে যেতে বাধ্য করতেন আতিকা।
তার কথামতো মিছিলে না গেলে মারধরের শিকার হতে হতো শিক্ষার্থীদের। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে ছিলেন এক আতঙ্কের নাম। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন আতিকা। এর সুবাদে ক্যাম্পাসে তার ছিল সীমাহীন ক্ষমতা।
কমিটি বাণিজ্য, সচিবালয়ে তদবিরসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাদ্দাম-ইনান যে কয়টি কমিটি ঘোষণা করেছেন, সেখানে লেনদেন বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে আতিকার বিরুদ্ধে।আন্দোলন চলাকালীন গত ১৫ জুলাই রাতেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘৭ মিনিটে ঢাকা ক্লিয়ার’-এর হুমকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির অপচেষ্টা করেন আতিকা। এরপর আর শেষরক্ষা হয়নি। ১৭ জুলাই রাতে ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনি ও হালকা উত্তমমধ্যম দিয়ে আতিকাসহ ছাত্রলীগের সাত নেত্রীকে রোকেয়া হল থেকে বের করে দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এর পরই আত্মগোপনে চলে যান তিনি। তাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি।ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের ঘোষণায় প্রকাশ্যে না আসায় নেটিজেনরা আতিকাকে নিয়ে নানা রকম পোস্ট দিচ্ছেন। অনেকেই জানতে চাচ্ছেন, ছাত্রলীগের এই নেত্রী এখন কোথায়। তবে তিনি আত্মগোপনে থাকায় তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।