ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে মতিউর রহমান চৌধুরীকে যা বলেছেন রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৯ বার

শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে চলছে উত্তপ্ত আলোচনা। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে কোনো পদত্যাগপত্র নেই, এমন খবর চাউর হবার পর থেকেই মূলত আলোচনার শুরু।

জনতার চোখ নামে সাপ্তাহিক প্রকাশনার একটি রিপোর্ট থেকেই এর সূত্রপাত। সেখানে সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেছেন, তিনি রাষ্ট্রপতিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন পদত্যাগপত্র নিয়ে। উত্তরে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, সেটির কোনো হার্ডকপি তার কাছে নেই।

কেন তিনি গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির কাছে, যমুনা টেলিভিশনকে দিয়েছেন সে উত্তর। বলেছেন, একটি বই লিখছেন তিনি। সেটির কাজেই মূলত যাওয়া।

মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রের কপি অনেকে জায়গায় খুঁজেছেন। কিন্তু পাননি। শেষ পর্যন্ত তিনি দারস্থ হন স্বয়ং রাষ্ট্রপতির। তিনি ঘণ্টাখানেকের বেশি তার সাথে কথা বলেন।

সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় কথা বলেছেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন এ ইস্যুতে। এ প্রসঙ্গে মানুষের মাঝে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে জানতে গিয়েছিলাম বাস্তবতা আসলে কী? উত্তরে রাষ্ট্রপতি বললেন, হার্ডকপি সম্পর্কে জানতে ক্যাবিনেট ডিভিশন থেকে লোকজন এসেছিল। তিনি (রাষ্ট্রপতি) বলে দিয়েছেন, তার কাছে নেই।

রাষ্ট্রপতি শপথ ভঙ্গ করেছেন, আইন উপদেষ্টার এই বক্তব্যের পর রাষ্ট্রপতি কি পদে থাকতে পারেন? এমন প্রশ্ন ছিল এই সিনিয়র সাংবাদিকের কাছে।

উত্তরে তিনি বলেন, আমিও একজন সাংবাদিক। এমন বিষয় নিয়ে আইনজীবীরা ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়াতে চান না। তবে, এ বিষয় নিয়ে তেমন বিতর্কের কিছু দেখেনও না বলে জানান। বলেন, হার্ডকপি দেখিয়ে দিলেই তো হয়।

তবে, হঠাৎ এ প্রসঙ্গটি কেন সামনে আনলেন মতিউর। রিপোর্টটি আওয়ামী লীগের জন্য পজিটিভ হলো কিনা, দিয়েছেন এ প্রশ্নের উত্তরও। বলেন, মোটেও তেমন না। কাউকে ফেভার দেয়ার জন্য রিপোর্ট লেখেন না।

প্রশ্ন ছিল, ধরা যাক এখন রাষ্ট্রপতি কিংবা স্পিকার নেই, তাহলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে কে দায়িত্ব নেবেন বলে মনে করেন?

উত্তরে মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এরআগে রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ইয়াজউদ্দিন আহমেদ দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তেমন নিতে পারেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। অথবা গঠন করা যেতে পারে জাতীয় সরকারের মতো কোন সরকার। তিনি বলেন, জাতীয় সরকারের মতো কিছু হলেই কেবল সংকট মোকাবেলা সম্ভব। না হলে সংকট আরও বাড়তে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে মতিউর রহমান চৌধুরীকে যা বলেছেন রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ১০:৩৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে চলছে উত্তপ্ত আলোচনা। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে কোনো পদত্যাগপত্র নেই, এমন খবর চাউর হবার পর থেকেই মূলত আলোচনার শুরু।

জনতার চোখ নামে সাপ্তাহিক প্রকাশনার একটি রিপোর্ট থেকেই এর সূত্রপাত। সেখানে সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেছেন, তিনি রাষ্ট্রপতিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন পদত্যাগপত্র নিয়ে। উত্তরে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, সেটির কোনো হার্ডকপি তার কাছে নেই।

কেন তিনি গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির কাছে, যমুনা টেলিভিশনকে দিয়েছেন সে উত্তর। বলেছেন, একটি বই লিখছেন তিনি। সেটির কাজেই মূলত যাওয়া।

মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রের কপি অনেকে জায়গায় খুঁজেছেন। কিন্তু পাননি। শেষ পর্যন্ত তিনি দারস্থ হন স্বয়ং রাষ্ট্রপতির। তিনি ঘণ্টাখানেকের বেশি তার সাথে কথা বলেন।

সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় কথা বলেছেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন এ ইস্যুতে। এ প্রসঙ্গে মানুষের মাঝে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে জানতে গিয়েছিলাম বাস্তবতা আসলে কী? উত্তরে রাষ্ট্রপতি বললেন, হার্ডকপি সম্পর্কে জানতে ক্যাবিনেট ডিভিশন থেকে লোকজন এসেছিল। তিনি (রাষ্ট্রপতি) বলে দিয়েছেন, তার কাছে নেই।

রাষ্ট্রপতি শপথ ভঙ্গ করেছেন, আইন উপদেষ্টার এই বক্তব্যের পর রাষ্ট্রপতি কি পদে থাকতে পারেন? এমন প্রশ্ন ছিল এই সিনিয়র সাংবাদিকের কাছে।

উত্তরে তিনি বলেন, আমিও একজন সাংবাদিক। এমন বিষয় নিয়ে আইনজীবীরা ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়াতে চান না। তবে, এ বিষয় নিয়ে তেমন বিতর্কের কিছু দেখেনও না বলে জানান। বলেন, হার্ডকপি দেখিয়ে দিলেই তো হয়।

তবে, হঠাৎ এ প্রসঙ্গটি কেন সামনে আনলেন মতিউর। রিপোর্টটি আওয়ামী লীগের জন্য পজিটিভ হলো কিনা, দিয়েছেন এ প্রশ্নের উত্তরও। বলেন, মোটেও তেমন না। কাউকে ফেভার দেয়ার জন্য রিপোর্ট লেখেন না।

প্রশ্ন ছিল, ধরা যাক এখন রাষ্ট্রপতি কিংবা স্পিকার নেই, তাহলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে কে দায়িত্ব নেবেন বলে মনে করেন?

উত্তরে মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এরআগে রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ইয়াজউদ্দিন আহমেদ দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তেমন নিতে পারেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। অথবা গঠন করা যেতে পারে জাতীয় সরকারের মতো কোন সরকার। তিনি বলেন, জাতীয় সরকারের মতো কিছু হলেই কেবল সংকট মোকাবেলা সম্ভব। না হলে সংকট আরও বাড়তে পারে।