বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়া হতে পারে। তার সঙ্গে যাচ্ছে ৫-৭ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম। সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য সময়ের আলোকে এ তথ্য জানান।
এই চিকিৎসক বলেন, ম্যাডাম আগের চেয়ে ভালো আছেন। তিনি বাসায় মেডিকেল বোর্ডের তত্বাবধানে আছেন। নিয়মিত চিকিৎসকরা দেখভাল করছেন। সমন্বয় করছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেএডএম জাহিদ হোসেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে ম্যাডাম নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ করছেন। ধীরে ধীরে বিমানে ট্রাভেল করার মতো অবস্থা তৈরি হচ্ছে। বিদেশ যাওয়ার আগে স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষার তাকে একবার এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার পুরো প্রস্তুতি প্রায় শেষ বলে জানান বোর্ডের এই সদস্য। ইতোমধ্যে গত আগস্টের শুরুতে নবায়নকৃত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) খালেদা জিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এক সপ্তাহ হাসপাতালে থেকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঢাকায় আছেন ছোট ছেলের বউ শর্মিলা রহমান সিথি। তিনি চিকিৎসার দেখভাল করছেন।
হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় গত ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। সর্বশেষ গত ৮ জুলাই গভীর রাতে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সাজামুক্ত বিএনপি চেয়ারপারসন এক মাস ১২ দিন পর ২১ আগস্ট বাসায় ফেরেন। তখন থেকে তার চিকিৎসা বাসায় চলছিল।