আইনশঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নারায়ণগঞ্জ সদরের পাইকপাড়ায় যে বাড়িটিতে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছেন, সেটি স্থানীয়দের কাছে ‘দেওয়ানবাড়ি’ নামে পরিচিত। তিনতলা এই বাড়িটির মালিক মোহাম্মদ নূরুদ্দিন দেওয়ান। স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকেন মালিক। দুই মাস আগে বাড়ির তৃতীয় তলাটিই ভাড়া নিয়েছিল তিন জঙ্গি।
জঙ্গিদের তথ্য গোপনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া নারায়ণগঞ্জের দেওয়ান বাড়ির মালিক নুরুদ্দিন দেওয়ান বলেছেন, একমি ওষুধ কোম্পানির বিপণণ প্রতিনিধি পরিচয়ে জঙ্গিরা তার ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। নুরুদ্দিন দেওয়ান আরও জানান, তিনি আগে জাপানে থাকতেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে প্রায় ১৫ বছর আগে তিন-তলা বাড়িটি করেন। এর দ্বিতীয় তলার পুরোটা নিয়ে তিনি থাকেন। তৃতীয় তলায় উত্তর ও দক্ষিণ দিকে একটি করে মোট দুটি ফ্ল্যাট আছে। এর মধ্যে উত্তর দিকের ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয় জঙ্গিরা।
নুরুদ্দিন জানান, কোম্পানির পরিচয়পত্র অনুসারে নিহত দুই জঙ্গির নাম মুরাদ ও রানা। যদিও পুলিশ তাদের নাম প্রাথমিকভাবে মানিক ও ইকবাল বলে জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভাড়া দেওয়ার পর আমি একাধিকবার ওই বাসায় গেছি। গিয়ে দেখেছি, তারা কেউ রান্না করছে, কেউ শুয়ে আছে।’
নুরুদ্দিন আরও বলেন, ‘গত দেড় মাসে সন্দেহজনক কিছু আমার চোখে পড়েনি।’
গত শনিবার সকালে দেওয়ানবাড়িতে অভিযানে যান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াতের সদস্যরা। এতে রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হামলার ‘পরিকল্পনাকারী ও জোগানদাতা’ তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হন। অন্য দুই জঙ্গি হলেন মানিক (২৫) ও ইকবাল (৩৫)। ঢাকার কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানের পর পালিয়ে যান ইকবাল।
এ ঘটনার পর বিকেল ৬টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিক, তাঁর স্ত্রী, তিন ছেলেসহ মোট আটজনকে আটক করে নিয়ে পুলিশ।