মো. দিদার হোসেন প্রায় ৭০ শতক জমিতে কচুর মুখি (স্থানীয় উন্নত জাত) আবাদ করেছেন। ফ্রিপ প্রকল্পের মাধ্যমে জমি প্রস্তুত, বীজ, সার, নিড়ানি ও সেচ বাবদ প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। জমি থেকে প্রায় ৯০ মণ কচুর মুখি তোলার আশা করছেন দিদার হোসেন। স্থানীয় বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি করছেন ৮৫ থেকে ৭০ টাকায়। এ হিসেবে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী যা বিক্রি করে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ করার আশা তার।
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের কৃষক মো. দিদার হোসেনের মতো অন্যান্য কৃষকদেরও কচুর মুখি আবাদে আগ্রহ বেড়েছে। যেসব কৃষক জমিতে আগাম জাতের কচু আবাদ করেছেন, তারা ১৫ দিন ধরে কচুর মুখি তুলে বাজারে বিক্রি করছেন। শুরুর দিকে পাইকারি বাজারে ৩ হাজার ৪০০ টাকা মণ দরে কচু বিক্রি হয়েছে। পাইকারি বাজারে এখন কচুর দাম ২ হাজা ৮০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা মণ।
সবজি ব্যবসায়ী মিলন মিয়া বলেন, পাইকারি বাজার থেকে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে কচুর মুখি কিনেছি। খুচরা বাজারে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। ৫ দিন আগে এই কচুর মুখি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
কৃষক মো. দিদার হোসেন জানান, দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. শামিমুল হক শামীমের সহযোগীতায় ফ্রিপ প্রকল্পের মাধ্যমে জমি প্রস্তুত করে কচুর মুখি চাষ করেন। জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। এখন উৎপাদিত কচু বিক্রি করছেন। কচুর মুখি বিক্রি থেকে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওয়ার আশা। এখানে উৎপাদনে খরচ বাদ দিলে দেড় লাখ টাকা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. শামিমুল হক শামীম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে কচুর মুখি আবাদের একটা লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। এর পুরোটাই অর্জিত হয়েছে। এখানে কৃষক মো. দিদার হোসেনকে পরামর্শ দিয়েছিলাম। এ পরামর্শে তার প্রায় ৭০ শতক জমিতে ফ্রিপ প্রকল্পের মাধ্যমে কচুর মুখি আবাদ হয়। ফলন ভালো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কচুর মুখি চাষ লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকদের পাশে রয়েছে কৃষি বিভাগ।