প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। শনিবার ভোর থেকে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নামে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে।
নদীর মানিকগঞ্জ প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি লঞ্চে ছিল ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী। আবার একই চিত্র দেখা গেছে ফেরিঘাটেও। ফেরিতে যাত্রীবাহী বাস প্রাইভেটকারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পার হচ্ছে মোটরসাইকেল।
তবে দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের কিছুটা ধীরগতি থাকলে ভোগান্তি ছিল কম। কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরা যাত্রীরা জানান, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর এখনও পর্যন্ত ভোগান্তি কম, ছিল না বাড়তি ভারা নেওয়ার অভিযোগ।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যাবস্থাপক নূর মোহাম্মদ ভুইয়া জানান, ঈদযাত্রায় পারাপার নির্বিঘ্নে করতে এই রুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া থেকে চালু করা হয়েছে আরও একটি চ্যানেল।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনামূল হক বলেন, ‘ঈদের যাত্রীদের নিরাপত্তায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চুরি ছিনতাই ও ফেরিতে জুয়া খেলা বন্ধে পদ্মা ও যমুনা নদীতে টহল চলমান আছে।’