সামনের দিনগুলোতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আমরা দেখতে চাই, তারা যেন গণতন্ত্রের মূলনীতিগুলোকে সম্মান করে। যেকোনো সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত গণতান্ত্রিক নীতি, আইনের শাসন এবং বাংলাদেশী জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা। বুধবার (৭ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনা কোথায়, যুক্তরাষ্ট্র জানে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, এ প্রশ্নটি আমাদের বলার জন্য না, এ প্রশ্নটি তার বলার জন্য।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা সামরিক বাহিনীর ঘোষণা দেখেছি। তারা যে ঘোষণা দিয়েছে তা ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনো তথ্য নেই।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখছি, এবং আমরা একটি অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসের নিয়োগ দেখেছি। আমরা মনে করি অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যেমনটি গতকাল সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেনকে বলতে শুনেছেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্তে গণতান্ত্রিক নীতি, আইনের শাসন এবং বাংলাদেশী জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্র যেতে শেখ হাসিনার ভিসা সম্পর্কে জানতে চাইলে ম্যাথিউ মিলার বলেন, মার্কিন আইন অনুযায়ী ভিসার রেকর্ড গোপনীয়, তাই আমি কোনোভাবেই কথা বলতে পারি না।