ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মামুনুল হকের সাক্ষাৎ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩১ বার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা কর্মসূচিকে ঘিরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে দেশব্যাপী সহিংসতা, ভাঙচুর ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করা হচ্ছে। এই দেশ আমাদের, আমাদেরকেই গড়ে তুলতে হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে খেলাফত মজলিসের কয়েকজন নেতাসহ হাসপাতালে যান মামুনুল হক। এ সময় খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে চেয়ারে বসে কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর তিনি তার সঙ্গে মামুনুল হকের বাবার (প্রয়াত শায়খুল হাদিস আজিজুল হক) সুসম্পর্কের বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপে মামুনুল হক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেন। অভ্যুত্থানের ঘটনায় অরাজক পরিস্থিতির কথা উঠে এলে হেফাজতের এ নেতা জানান, মঙ্গলবার সারা দেশে ছাত্র, জনতা বিভিন্ন স্থানে সরকারি সম্পদ রক্ষার কাজে যুক্ত হয়েছে। শহরে নতুন করে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক কাজে যুক্ত হয়েছে। রাস্তাঘাটের ময়লা পরিষ্কারের কাজেও অনেকে যুক্ত হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার রাত থেকে সারা দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় পাহারা দিয়েছে।

মানুষের জানমালের ক্ষতি খুব খারাপ উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, অনেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটে যুক্ত, যা অন্যায়।

খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন বলেন, খালেদা জিয়া একজন মজলুম নারী। আমরা দীর্ঘদিন বন্দি ছিলাম। মাওলানা মামুনুল হক দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। বন্দিদের প্রতি বন্দিদের মায়া সবচেয়ে বেশি। মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে আমরা তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন, তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, শায়খুল হাদিস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি হাসান জুনাঈদ প্রমুখ।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মামুনুল হকের সাক্ষাৎ

আপডেট টাইম : ১০:৫৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা কর্মসূচিকে ঘিরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে দেশব্যাপী সহিংসতা, ভাঙচুর ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করা হচ্ছে। এই দেশ আমাদের, আমাদেরকেই গড়ে তুলতে হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে খেলাফত মজলিসের কয়েকজন নেতাসহ হাসপাতালে যান মামুনুল হক। এ সময় খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে চেয়ারে বসে কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর তিনি তার সঙ্গে মামুনুল হকের বাবার (প্রয়াত শায়খুল হাদিস আজিজুল হক) সুসম্পর্কের বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপে মামুনুল হক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেন। অভ্যুত্থানের ঘটনায় অরাজক পরিস্থিতির কথা উঠে এলে হেফাজতের এ নেতা জানান, মঙ্গলবার সারা দেশে ছাত্র, জনতা বিভিন্ন স্থানে সরকারি সম্পদ রক্ষার কাজে যুক্ত হয়েছে। শহরে নতুন করে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক কাজে যুক্ত হয়েছে। রাস্তাঘাটের ময়লা পরিষ্কারের কাজেও অনেকে যুক্ত হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার রাত থেকে সারা দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় পাহারা দিয়েছে।

মানুষের জানমালের ক্ষতি খুব খারাপ উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, অনেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটে যুক্ত, যা অন্যায়।

খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন বলেন, খালেদা জিয়া একজন মজলুম নারী। আমরা দীর্ঘদিন বন্দি ছিলাম। মাওলানা মামুনুল হক দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। বন্দিদের প্রতি বন্দিদের মায়া সবচেয়ে বেশি। মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে আমরা তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন, তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, শায়খুল হাদিস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি হাসান জুনাঈদ প্রমুখ।