কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে সহিংসতার অভিযোগে গত ১৬ দিনে প্রায় ১২ হাজার সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সরকার পতনের এক দফা দাবিকে কেন্দ্র করে নাশকতাসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে অন্তত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলেছে, সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গতকাল শনিবার পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় করা অন্তত সাড়ে পাঁচ শতাধিক মামলায় এদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের তথ্য অনুসারে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে রাজধানীতে ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, চুরি, অগ্নিসংযোগ, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে গত শুক্রবার পর্যন্ত ২৭৪টি মামলায় তিন হাজারের বেশি সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৫৩টি হত্যা মামলা। এসব মামলায় ১৫ দিনে (১৭ জুলাই থেকে ১ আগস্ট) তিন হাজার ১১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৩ জুলাই এক দিনে সর্বোচ্চ ৫১৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে এখন পর্যন্ত ১৮ পুলিশ সদস্য নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এর বাইরে সারা দেশে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হন প্রায় দুই হাজার পুলিশ সদস্য। গ্রেপ্তারকৃতদের ১৯ থেকে ২১ জুলাই দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন গলিতে দুই পুলিশ সদস্যসহ ৩৩ জন নিহত হন।
ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগ থেকে জানা যায়, সহিংসতার ঘটনায় ডিএমপির (ঢাকা মহানগর পুলিশ) বিভিন্ন থানায় এখন পর্যন্ত মামলার সংখ্যা ২৭৪।
দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৮৪, ১৪৯, ৩০৭, ৩০২ সহ আরো বেশ কিছু ধারায় এসব মামলা করা হয়েছে। এতে বৈআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, অগ্নিসংযোগ, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৫৩টি হত্যা মামলা।