ঢাকা ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিম, আলু ও পেঁয়াজ উচ্চমূল্যে বিক্রি, নতুন করে বেড়েছে চিনির দাম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
  • ২৯ বার

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা কমতে শুরু করেছে পণ্যের দাম। তারপরও রাজধানীর খুচরা বাজারে ডিম, আলু ও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। এখনো এক কেজি আলু কিনতে ক্রেতার গুনতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা। পাশাপাশি পেঁয়াজের কেজি সর্বোচ্চ ১২০ টাকা।

এরই মধ্যে বাজারে নতুন করে বেড়েছে চিনির দাম। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, এদিন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা। সাতদিন আগেও ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কাওরান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বাজারে একের পর এক পণ্যের দাম বাড়ে। একটি পণ্যের দাম কিছুটা কমালে আরেকটির বাড়ানো হয়। এতে বাজারে এসে কোনোভাবেই স্বস্তি পাওয়া যায় না। এবার চিনির দামও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এগুলো যেসব সংস্থা পর্যবেক্ষণ করবে, তারা কিছুই করছে না।

চিনির দাম বাড়ার প্রসঙ্গে একই বাজারের মুদি বিক্রেতা মো. শাকিল বলেন, মিল থেকে চিনির দাম বাড়ালে আগে থেকেই জানানো হয়। এবার তা করা হয়নি। মিলপর্যায় থেকে দাম বাড়ানোর কারণে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্রেতার কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে।

খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এদিন প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। প্রতি কেজি আলু মান ও বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা। আর আমদনি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা, যা সাতদিন আগে ১০৫-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ছোট দানার প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. বিপ্লব বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম আকাশচুম্বী। কোনো পণ্যেই হাত দেওয়া যায় না। তাই মানুষ ভাতের সঙ্গে ডাল, আলুভর্তা কিংবা ডিম দিয়ে ভাত খাবে, এরও যেন উপায় নেই। এসব পণ্যের দাম কারসাজি করে কয়েক মাস ধরেই বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি আলু কিনতে ৬৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। কিন্তু কোনো বাজারেই এ পণ্যের সংকট নেই। তাহলে বিক্রেতারা একটি চক্র হয়ে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। আর এসব দেখার যেন কেউ নেই। তাই আমাদের বাড়তি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে।

রাজধনীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর প্যাকেটজাত ময়দা প্রতি কেজি ৭০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৭ টাকা। খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২২০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়। পাশাপাশি প্রতি কেজি আমদনি করা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা আর আমদানি করা আদা ২২০-৩০০ টাকা।

এদিকে খুচরা বাজারে সব ধরনের মাংস উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে কেজিতে ৫ টাকা কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা। প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৬০ থেকে ৭০০ টাকা। প্রতি কেজি গুরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি ১১০০ টাকা।

সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ, ধুন্দল ও চিচিঙ্গার কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর প্রতি কেজি বেগুন, বরবটি, করলা ও কাঁকরোলের মতো সবজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিম, আলু ও পেঁয়াজ উচ্চমূল্যে বিক্রি, নতুন করে বেড়েছে চিনির দাম

আপডেট টাইম : ১১:১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা কমতে শুরু করেছে পণ্যের দাম। তারপরও রাজধানীর খুচরা বাজারে ডিম, আলু ও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। এখনো এক কেজি আলু কিনতে ক্রেতার গুনতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা। পাশাপাশি পেঁয়াজের কেজি সর্বোচ্চ ১২০ টাকা।

এরই মধ্যে বাজারে নতুন করে বেড়েছে চিনির দাম। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, এদিন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা। সাতদিন আগেও ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কাওরান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বাজারে একের পর এক পণ্যের দাম বাড়ে। একটি পণ্যের দাম কিছুটা কমালে আরেকটির বাড়ানো হয়। এতে বাজারে এসে কোনোভাবেই স্বস্তি পাওয়া যায় না। এবার চিনির দামও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এগুলো যেসব সংস্থা পর্যবেক্ষণ করবে, তারা কিছুই করছে না।

চিনির দাম বাড়ার প্রসঙ্গে একই বাজারের মুদি বিক্রেতা মো. শাকিল বলেন, মিল থেকে চিনির দাম বাড়ালে আগে থেকেই জানানো হয়। এবার তা করা হয়নি। মিলপর্যায় থেকে দাম বাড়ানোর কারণে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্রেতার কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে।

খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এদিন প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। প্রতি কেজি আলু মান ও বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা। আর আমদনি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা, যা সাতদিন আগে ১০৫-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ছোট দানার প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. বিপ্লব বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম আকাশচুম্বী। কোনো পণ্যেই হাত দেওয়া যায় না। তাই মানুষ ভাতের সঙ্গে ডাল, আলুভর্তা কিংবা ডিম দিয়ে ভাত খাবে, এরও যেন উপায় নেই। এসব পণ্যের দাম কারসাজি করে কয়েক মাস ধরেই বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি আলু কিনতে ৬৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। কিন্তু কোনো বাজারেই এ পণ্যের সংকট নেই। তাহলে বিক্রেতারা একটি চক্র হয়ে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। আর এসব দেখার যেন কেউ নেই। তাই আমাদের বাড়তি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে।

রাজধনীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা আটা ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর প্যাকেটজাত ময়দা প্রতি কেজি ৭০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৭ টাকা। খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২২০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়। পাশাপাশি প্রতি কেজি আমদনি করা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা আর আমদানি করা আদা ২২০-৩০০ টাকা।

এদিকে খুচরা বাজারে সব ধরনের মাংস উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে কেজিতে ৫ টাকা কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা। প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৬০ থেকে ৭০০ টাকা। প্রতি কেজি গুরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি ১১০০ টাকা।

সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ, ধুন্দল ও চিচিঙ্গার কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর প্রতি কেজি বেগুন, বরবটি, করলা ও কাঁকরোলের মতো সবজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা।