গরমে কাবু করে কিরগিজস্তানকে পরাস্ত করার একটা বাসনা ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। কিন্তু বিধাতার চিন্তা ছিল ভিন্ন। তাই টানা কয়েকদিন তীব্র দাবদাহের পর গতকাল সকাল থেকেই ভারি বর্ষণে পুরো পরিবেশই পাল্টে যায়। তাপমাত্রা নেমে আসে অর্ধেকে। শীতলতায় যেন উজ্জীবিত হয়ে ওঠে শীতপ্রধান অঞ্চলের দেশ কিরগিজস্তান দল। তাদের খেলা দেখে মনে হয়েছে ‘হোম কন্ডিশনে’ খেলছে তারা ফলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সহজ জয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাই পর্বটা ভালই শুরু করেছে তারা। আর হারে শুরু করলো ক্রুইফের শিষ্যরা। কিরগিজদের বিপক্ষে হারতে হলো ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে। কিরগিজদের হয়ে গোল তিনটি করেন দুই ফরোয়ার্ড বারনহারডেট এডরার ও অ্যান্টন জিমলি ইনিহুন। এর মধ্যে সার্বিয়ার চার নাম্বার লীগে খেলা অ্যান্টন করেন দুই গোল। বাংলাদেশের গোলটি হয়েছে আত্মঘাতী। কিরগিজ ডিফেন্ডার খিচিন ভালিলির কল্যাণে ম্যাচে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। আগামী মঙ্গলবার ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় হোম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ তাজিকিস্তান।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের এ ম্যাচকে ঘিরে স্বপ্নের বীজ বুনেছিল বাংলাদেশ দল। কঠিন গ্রুপ বলে অস্ট্রেলিয়া, জর্ডানকে বাদ দিয়ে কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানকে হারানোর প্রত্যাশা স্বাগতিকদের। র্যাঙ্কিংয়ে কিরগিজস্তানের (১৭৭) চেয়ে এগিয়ে থাকলেও বর্তমান দলটি সম্পর্কে কোন ধারণাই ছিল না বাংলাদেশের (১৬৬)। গত ১১ মাস আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কোন ম্যাচই খেলেনি তারা। নিজেদের অনুকূল আবহাওয়া পেয়ে গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় কিরগিজস্তান। সাবেক সোভিয়েত ব্লক থেকে আলাদা হওয়া রাষ্ট্রটি ম্যাচের আট মিনিটে গোল আদায় করে। যদিও গোলটির পুরো দায়ই বাংলাদেশের মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসের। তার ভুলেই বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রিকিক পায় কিরগিজস্তান। তাতেই গোল আদায় করে নেন এন্টন জিমলিইনিহুন। সার্বিয়ার চার নাম্বার লীগে খেলা এই ফুটবলার সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না বাংলাদেশের। ফলে তাকে কোন প্রকার মার্কিংয়ের চেষ্টা করেননি স্বাগতিক ডিফেন্ডাররা। এতেই ধীরে ধীরে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন এ ফরোয়ার্ড। গোল করেছেন আরও একটি। ম্যাচের ৪১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে আনমার্ক অবস্থায় দারুণ গোল জিমলিইনিহুন (৩-১)। যদিও এর আগে ম্যাচে আরও দুটি গোল হয়। যার একটি বাংলাদেশের, অপরটি কিরগিজস্তানের। ম্যাচের ২৮ মিনিটে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দেন ইয়ামিন আহাম্মেদ মুন্না। অযথাই মাইয়ার ভিক্টরকে বক্সে ফেলে দেন এই ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে এডগার গোল করলে কিরগিজরা এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। ম্যাচের ৩১ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে ইয়ামিন মুন্নার ক্রস কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন কিরগিজ ডিফেন্ডার খিচিন। ওই কর্নারে ব্যবধান কমায় বাংলাদেশ। মামুনুলের কর্নারে নিজেদের জালে বল জড়ান এই ডিফেন্ডার (২-১)। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের আক্রমণ ছিল বলতে গেলেই একটিই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের গুছিয়ে খেলার চেষ্টা করে স্বাগতিকরা। মামুনুল ও জামাল ভূঁইয়া চেষ্টা করেছেন মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিতে। কিন্তু দুই উইংয়ে সোহেল রানা ও এনামুল নিষ্প্রভ থাকাতে কাজ হয়নি। ছোট ছোট পাসে আক্রমণ শানাতে ব্যর্থ হওয়াতে লং পাসে খেলতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিরগিজদের উচ্চতা ও শারীরিক ক্ষমতায় কুলিয়ে ওঠা যায়নি। তবে রায়হান থ্রো ও মামুনুলের ফ্রিকিকে দুটি গোলের সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে মামুনুলের বাঁ পায়ের বাঁকানো ফ্রিকিক ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক খাসহুবা ভালিরিল। ইনজুরি সময়ে রায়হানের লম্বা থ্রো ফাঁকায় দাঁড়ানো তপু বর্মন মাথা ছোয়াতে ব্যর্থ হলে গোল বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। শিষ্যদের ব্যর্থতায় মেজাজ ধরে রাখতে না পারায় রেফারির সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন বাংলাদেশের হেড কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ। এতে খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে তাকে ডাগ আউট থেকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেন রেফারি সুখবির সিং।
রাশিয়া বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে মঙ্গলবার দ্বিতীয় তাজিকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় হোম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দল : লিটন (গোলরক্ষক) ইয়াসিন, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী (রায়হান), তপু বর্মন, ইয়ামিন মুন্না, জামাল ভূঁইয়া (শাহেদ), মামুনুল ইসলাম, হেমন্ত, সোহেল রানা, ইনামুল, হিমেল।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের এ ম্যাচকে ঘিরে স্বপ্নের বীজ বুনেছিল বাংলাদেশ দল। কঠিন গ্রুপ বলে অস্ট্রেলিয়া, জর্ডানকে বাদ দিয়ে কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানকে হারানোর প্রত্যাশা স্বাগতিকদের। র্যাঙ্কিংয়ে কিরগিজস্তানের (১৭৭) চেয়ে এগিয়ে থাকলেও বর্তমান দলটি সম্পর্কে কোন ধারণাই ছিল না বাংলাদেশের (১৬৬)। গত ১১ মাস আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কোন ম্যাচই খেলেনি তারা। নিজেদের অনুকূল আবহাওয়া পেয়ে গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় কিরগিজস্তান। সাবেক সোভিয়েত ব্লক থেকে আলাদা হওয়া রাষ্ট্রটি ম্যাচের আট মিনিটে গোল আদায় করে। যদিও গোলটির পুরো দায়ই বাংলাদেশের মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসের। তার ভুলেই বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রিকিক পায় কিরগিজস্তান। তাতেই গোল আদায় করে নেন এন্টন জিমলিইনিহুন। সার্বিয়ার চার নাম্বার লীগে খেলা এই ফুটবলার সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না বাংলাদেশের। ফলে তাকে কোন প্রকার মার্কিংয়ের চেষ্টা করেননি স্বাগতিক ডিফেন্ডাররা। এতেই ধীরে ধীরে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন এ ফরোয়ার্ড। গোল করেছেন আরও একটি। ম্যাচের ৪১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে আনমার্ক অবস্থায় দারুণ গোল জিমলিইনিহুন (৩-১)। যদিও এর আগে ম্যাচে আরও দুটি গোল হয়। যার একটি বাংলাদেশের, অপরটি কিরগিজস্তানের। ম্যাচের ২৮ মিনিটে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দেন ইয়ামিন আহাম্মেদ মুন্না। অযথাই মাইয়ার ভিক্টরকে বক্সে ফেলে দেন এই ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে এডগার গোল করলে কিরগিজরা এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। ম্যাচের ৩১ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে ইয়ামিন মুন্নার ক্রস কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন কিরগিজ ডিফেন্ডার খিচিন। ওই কর্নারে ব্যবধান কমায় বাংলাদেশ। মামুনুলের কর্নারে নিজেদের জালে বল জড়ান এই ডিফেন্ডার (২-১)। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের আক্রমণ ছিল বলতে গেলেই একটিই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের গুছিয়ে খেলার চেষ্টা করে স্বাগতিকরা। মামুনুল ও জামাল ভূঁইয়া চেষ্টা করেছেন মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিতে। কিন্তু দুই উইংয়ে সোহেল রানা ও এনামুল নিষ্প্রভ থাকাতে কাজ হয়নি। ছোট ছোট পাসে আক্রমণ শানাতে ব্যর্থ হওয়াতে লং পাসে খেলতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিরগিজদের উচ্চতা ও শারীরিক ক্ষমতায় কুলিয়ে ওঠা যায়নি। তবে রায়হান থ্রো ও মামুনুলের ফ্রিকিকে দুটি গোলের সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে মামুনুলের বাঁ পায়ের বাঁকানো ফ্রিকিক ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক খাসহুবা ভালিরিল। ইনজুরি সময়ে রায়হানের লম্বা থ্রো ফাঁকায় দাঁড়ানো তপু বর্মন মাথা ছোয়াতে ব্যর্থ হলে গোল বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। শিষ্যদের ব্যর্থতায় মেজাজ ধরে রাখতে না পারায় রেফারির সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন বাংলাদেশের হেড কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ। এতে খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে তাকে ডাগ আউট থেকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেন রেফারি সুখবির সিং।
রাশিয়া বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে মঙ্গলবার দ্বিতীয় তাজিকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় হোম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দল : লিটন (গোলরক্ষক) ইয়াসিন, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী (রায়হান), তপু বর্মন, ইয়ামিন মুন্না, জামাল ভূঁইয়া (শাহেদ), মামুনুল ইসলাম, হেমন্ত, সোহেল রানা, ইনামুল, হিমেল।