ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
নাগরিক টেলিভিশনে নতুন দায়িত্বে এরফানুল হক নাহিদ ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান, গুলশানে প্রস্তুত হচ্ছে নতুন বাসভবন অষ্টগ্রামের ইকুরদিয়া ঘাটের মুরালি দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছে নিয়োগের ১ মাসের মধ্যে মাদারীপুরের ডিসি আফসানা বিলকিসকে পরিবর্তন কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণায় ঐকমত্য প্রশাসনেও বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই পে-স্কেলের গেজেটের দাবিতে আলটিমেটাম হামজার জনপ্রিয়তা দেখতে ঢাকায় লেস্টার সিটির কর্মকর্তারা জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন : ফরিদা আখতার ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিলো ইসরায়েল, ফিলিস্তিনিদের ওপর কারফিউ

আউটসোর্সিং কর্মীদের কর্মবিরতিতে মদন হাসপাতাল ডাস্টবিনে পরিণত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
  • ১০৯ বার

নিজাম (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ যেখানে রোগী সেই রুমের চার দিকে স্তুপ করে ময়লা রাখা। দূর্গন্ধে নাক-মুখে চেপে ধরে সময় পাড় করেছেন রোগী ও স্বজনরা। কয়েক দিনের ময়লা জমানো ময়লাই হাসপাতাল এখন নিজেই রোগী হয়ে গেছে। থাকার মতো পরিবেশ না থাকায় কেউ আবার ছুটি না নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল ছাড়ছেন। এমন বেহাল দশা নেত্রকোণার মদন উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালের।

স্থানীয়দের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও নজরদারী না থাকায় হাসপাতালের এমন নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় ভুগছেন মদন, আটপাড়া, খালিয়াজুরি উপজেলার লাখো মানুষ। কর্তৃপক্ষের দাবি হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে আউটসোর্সিং কর্মীরা। কিন্তু মদন হাসপাতালের ১৪ জন আউটসোর্সিং কর্মীর বেতন-ভাতা ১৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। বেতনের দাবিতে আউটসোর্সিং কর্মীরা কর্ম-বিরতিতে থাকায় হাসপাতালের বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে সরজমিনে হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, চার দিকে ময়লার স্তুপ। দূর্গন্ধে নাক-মুখ চেপে সময় কাটাচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। হাসপাতালে ভর্তি দেওসহিলা গ্রামের কামাল হোসেন, মাঘান গ্রামের রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীপুর গ্রামের সুমন জানান, অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু হাসপাতালে থাকার কোন পরিবেশ নাই। দূর্গন্ধ আর ময়লা আর্বজনায় আরো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। পরিষ্কার তো করেই না ঠিক মতো ডাক্তারও আসে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূরুল হুদা খান জানান, আউটসোর্সিং কর্মীরা বেতন না পেয়ে কর্ম বিরতীতে রয়েছে। তাদের বেতন মূলত জেলা সিভিল সার্জন অফিস দিয়ে থাকে। তাই পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অভাবে একটু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নাগরিক টেলিভিশনে নতুন দায়িত্বে এরফানুল হক নাহিদ

আউটসোর্সিং কর্মীদের কর্মবিরতিতে মদন হাসপাতাল ডাস্টবিনে পরিণত

আপডেট টাইম : ১০:৪৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

নিজাম (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ যেখানে রোগী সেই রুমের চার দিকে স্তুপ করে ময়লা রাখা। দূর্গন্ধে নাক-মুখে চেপে ধরে সময় পাড় করেছেন রোগী ও স্বজনরা। কয়েক দিনের ময়লা জমানো ময়লাই হাসপাতাল এখন নিজেই রোগী হয়ে গেছে। থাকার মতো পরিবেশ না থাকায় কেউ আবার ছুটি না নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল ছাড়ছেন। এমন বেহাল দশা নেত্রকোণার মদন উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালের।

স্থানীয়দের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও নজরদারী না থাকায় হাসপাতালের এমন নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় ভুগছেন মদন, আটপাড়া, খালিয়াজুরি উপজেলার লাখো মানুষ। কর্তৃপক্ষের দাবি হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে আউটসোর্সিং কর্মীরা। কিন্তু মদন হাসপাতালের ১৪ জন আউটসোর্সিং কর্মীর বেতন-ভাতা ১৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। বেতনের দাবিতে আউটসোর্সিং কর্মীরা কর্ম-বিরতিতে থাকায় হাসপাতালের বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে সরজমিনে হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, চার দিকে ময়লার স্তুপ। দূর্গন্ধে নাক-মুখ চেপে সময় কাটাচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। হাসপাতালে ভর্তি দেওসহিলা গ্রামের কামাল হোসেন, মাঘান গ্রামের রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীপুর গ্রামের সুমন জানান, অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু হাসপাতালে থাকার কোন পরিবেশ নাই। দূর্গন্ধ আর ময়লা আর্বজনায় আরো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। পরিষ্কার তো করেই না ঠিক মতো ডাক্তারও আসে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূরুল হুদা খান জানান, আউটসোর্সিং কর্মীরা বেতন না পেয়ে কর্ম বিরতীতে রয়েছে। তাদের বেতন মূলত জেলা সিভিল সার্জন অফিস দিয়ে থাকে। তাই পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অভাবে একটু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে।