ঢাকা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধান শিক্ষকের প্রকাশ্যে মদ পান, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
  • ৮০ বার

নিজাম (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ আব্দুস সালাম দরদী। পেশায় একজন প্রাথমিক শিক্ষক। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদেন মানুষের মতো মানুষ হতে। কিন্তু তিনি নিজেই সার্বক্ষণিক অমানুষের কাজে লিপ্ত। সুদ কারবার, নারী কেলেংকারী ও প্রকাশ্যে মদ পানের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসে মদ পান করার ভিডিও “হাওরবার্তা” প্রতিনিধির হাতে এসেছে।

আব্দুস সালাম দরদী মদন শহরের বাড়িভাদেরা রোডের বাসিন্দা। তিনি নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের ধর্মরায় রামধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি খালিয়াজুরী উপজেলার নূরপুর বোয়ালী গ্রামের লাট মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের বিখ্যাত বাউল সাধক ও মরমী কবি উকিল মুন্সীর ১৩৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার নিজ গ্রাম নূরপুর বোয়ালীতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চের এক পাশে চেয়ারে বসে প্রকাশ্যে মদ পান করছে প্রাথমিক শিক্ষক আব্দুস সালাম দরদী।

এছাড়াও শিক্ষক আব্দুস সালাম দরদীর মদ পানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে অনেক লোকজন পোস্ট করেছেন। তিনি প্রায় সময়েই মদ পান করেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একজন শিক্ষক (সরকারি চাকুরীজীবি) হয়েও প্রকাশ্যে মাদক সেবন করায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনুষ্ঠানে অংশ্রগ্রহণকারী একাধিক ব্যাক্তি জানান, সালাম দরদী একজন শিক্ষক। তিনি সরকারি চাকুরী করে। কিন্তু মঞ্চে বসেই মদ খেয়েছেন। মদ খেয়ে মাতলামিও করেছেন। একজন শিক্ষক যদি মাদকে আসক্ত হয় এবং প্রকাশ্যে মদ পান করে তাহলে ছাত্রদের কি শিক্ষা দিবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দাবি জানান তারা।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষক আব্দুস সালাম দরদী জানান, একটা চক্র শক্রতা করছে আমার সাথে। এই বিষয়টা (মদ খাওয়ার) নিয়ে যেন কোন সমস্যা না করে আমার একজন আত্মীয় সাংবাদিকদের সাথে সমাধান করে দিয়েছিল। এর পরেও বিষয়টি নিয়ে বার বার কথা হচ্ছে। ঘটনাটি একটু প্রজেটিভ ভাবে দেখার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

এ ব্যাপারে নেত্রকোণা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান জানান, সরকারি চাকুরীর নীতিমালা অনুযায়ী কেউ মদ পান করতে পারে না। শিক্ষক যদি মদ পান করে তা আরো দুঃখজনক। আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক প্রকাশ্যে মদ পান করেছে বিষয়টি মাত্রই জানলাম। এ ব্যাপারে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রধান শিক্ষকের প্রকাশ্যে মদ পান, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল

আপডেট টাইম : ০৪:৪০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

নিজাম (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ আব্দুস সালাম দরদী। পেশায় একজন প্রাথমিক শিক্ষক। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদেন মানুষের মতো মানুষ হতে। কিন্তু তিনি নিজেই সার্বক্ষণিক অমানুষের কাজে লিপ্ত। সুদ কারবার, নারী কেলেংকারী ও প্রকাশ্যে মদ পানের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসে মদ পান করার ভিডিও “হাওরবার্তা” প্রতিনিধির হাতে এসেছে।

আব্দুস সালাম দরদী মদন শহরের বাড়িভাদেরা রোডের বাসিন্দা। তিনি নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের ধর্মরায় রামধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি খালিয়াজুরী উপজেলার নূরপুর বোয়ালী গ্রামের লাট মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের বিখ্যাত বাউল সাধক ও মরমী কবি উকিল মুন্সীর ১৩৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার নিজ গ্রাম নূরপুর বোয়ালীতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চের এক পাশে চেয়ারে বসে প্রকাশ্যে মদ পান করছে প্রাথমিক শিক্ষক আব্দুস সালাম দরদী।

এছাড়াও শিক্ষক আব্দুস সালাম দরদীর মদ পানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে অনেক লোকজন পোস্ট করেছেন। তিনি প্রায় সময়েই মদ পান করেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একজন শিক্ষক (সরকারি চাকুরীজীবি) হয়েও প্রকাশ্যে মাদক সেবন করায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনুষ্ঠানে অংশ্রগ্রহণকারী একাধিক ব্যাক্তি জানান, সালাম দরদী একজন শিক্ষক। তিনি সরকারি চাকুরী করে। কিন্তু মঞ্চে বসেই মদ খেয়েছেন। মদ খেয়ে মাতলামিও করেছেন। একজন শিক্ষক যদি মাদকে আসক্ত হয় এবং প্রকাশ্যে মদ পান করে তাহলে ছাত্রদের কি শিক্ষা দিবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দাবি জানান তারা।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষক আব্দুস সালাম দরদী জানান, একটা চক্র শক্রতা করছে আমার সাথে। এই বিষয়টা (মদ খাওয়ার) নিয়ে যেন কোন সমস্যা না করে আমার একজন আত্মীয় সাংবাদিকদের সাথে সমাধান করে দিয়েছিল। এর পরেও বিষয়টি নিয়ে বার বার কথা হচ্ছে। ঘটনাটি একটু প্রজেটিভ ভাবে দেখার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

এ ব্যাপারে নেত্রকোণা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান জানান, সরকারি চাকুরীর নীতিমালা অনুযায়ী কেউ মদ পান করতে পারে না। শিক্ষক যদি মদ পান করে তা আরো দুঃখজনক। আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক প্রকাশ্যে মদ পান করেছে বিষয়টি মাত্রই জানলাম। এ ব্যাপারে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।