বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ১১৩ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ১০৯ রানে। এমন হারে এখন শঙ্কায় বাংলাদেশের সুপার এইট। যদিও এখনও হাতে দুই ম্যাচ থাকায় বেশ ভালো ভাবেই সুপার এইটে খেলার সুযোগ আছে বাংলাদেশের সামনে। তবে শুধু সুপার এইটেই নয় বাংলাদেশ দলকে নিয়ে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলার স্বপ্নও দেখেন তাওহিদ হৃদয়।
বাংলাদেশ মূলত হেরে যায় হৃদয় ১৮ তম ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৪ বলে ৩৭ রান করে আসেন তিনি। বাংলাদেশকে ম্যাচে রেখেছিলেন হৃদয়ই। তবে শেষ পর্যন্ত তার আউটের পরপরই পরিস্থিতি পাল্টে যায়, ম্যাচটা ছিনিয়ে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর তাই এমন হারের দায়টা অন্য কারও ওপর না চাপিয়ে নিজের কাঁধেই নিয়েছেন হৃদয়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সে কথায় জানিয়েছেন তিনি।
হৃদয় বলেন, ‘ম্যাচ হেরে গেছি আমার আউটে। খেলা ফিনিশ করলে হারতাম না। তারা (টপ অর্ডার) তো আউট হয়ে গেছে অনেক আগে। আমি তো শেষ পর্যন্ত ছিলাম। যদি আমি জেতাতে পারতাম… আমিই আউট হয়ে গেছি, পারিনি। আমার কাছে কখনও মনে হয়নি এই ম্যাচ হারতে পারি। যদি খেলা শেষ করতাম ভিন্ন দৃশ্য হতো। এখান থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই হারে সুপার এইটে খেলা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে হৃদয় শোনালেন স্বপ্নের কথা। বললেন, ‘আমার কাছে মনে হয় শুধু সুপার এইট না, আমরা সেমিফাইনাল-ফাইনাল খেলার মতো দল। এটা আমার বিশ্বাস। আমার এই বিশ্বাসটা আছে।’
এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বড় মাথা ব্যথার কারণ টপ অর্ডারদের রান না পাওয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ধারা বাজায় ছিল। যা নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘ব্যাটাররা রান করছে না, প্রত্যেক ম্যাচেই সব দলের সবাই রান করে না, ১-২ জন খেলে। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট, এখানে ১১ জন খেলে না। যে ২-৩ জন খেলবে, সেদিন যেন খেলাটা শেষ করতে পারে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। ব্যাটাররা রান করছে না, ইনশা আল্লাহ সামনের ম্যাচগুলোতে করবে। আশা করি তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াব।’
গ্রুপপর্বে এখনও বাংলাদেশের দুই ম্যাচ বাকি। যেখানে ১৩ জুন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস ও শেষ ম্যাচ আগামী ১৭ জুন প্রতিপক্ষ নেপাল। সুপার এইটে খেলতে যেই দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে।