ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২৪ নম্বরে অবস্থান অস্ট্রেলিয়ার। অন্যদিকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৪ তে। তাছাড়া ২০০৬ সাল থেকে নিয়মিত ফুটবল বিশ্বকাপ খেলছে সকারুজরা। সেই সকারুজদের থেকে বাংলাদেশের পাথর্ক্য কতটা সেটা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগেই টের পেয়েছে জামাল ভূঁইয়ার দল। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া সেই ম্যাচে ৭-০ গোলে ধরাশায়ী হতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে এবার নিজেদের মাঠে খেলা বলেই সাহস রাখছে বাংলাদেশ। ম্যাচে জয় না পেলেও ড্র করে হলেও যেন অন্তত একটা পয়েন্ট মিলে। বাংলাদেশ অবশ্য এর বেশি প্রত্যাশাও করছে না।
আজ বিকাল পৌনে ৫ টায় সকারুজদের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কিংস অ্যারেনায় হবে ম্যাচটি। তবে সেই ম্যাচের আগে এরইমধ্যে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছে হ্যাভিয়ের কাবরেরার দল। লক্ষ্যটা স্পষ্ট অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যেমন করেই হোক ঘরের মাঠে লজ্জায় পড়া যাবে না। বাংলাদেশের জন্য এ ম্যাচে অনুপ্রেরণা লেবানন ম্যাচ। কেননা, এই মাঠেই লেবাননকে ধরাশায়ী করেছিল বাংলাদেশ। রুখে দিয়েছিল ১-১ গোলে। নিজেদের ভুলে জয় না আসলেও অন্তত পয়েন্টে ভাগ বসাতে পেরেছিল কাবরেরার শিষ্যরা। এ ম্যাচেও নিশ্চয় সেটিই চাওয়া থাকবে তাদের।
বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও জানিয়েছেন ম্যাচ নিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা। তিনি বলেন, ‘এটাই আমাদের শেষ হোম ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়া অত্যন্ত শক্তিশালী দল, আমরা হোম অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগিয়ে কিছু একটা করতে চাই।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে করা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এ ম্যাচে দারুণ কিছু করে দেখাতে চান কাবরেরা, ‘আমরা ইতিবাচক ভালো কিছু করার ব্যাপারে। মেলবোর্নের (অ্যাওয়ে) ম্যাচের তুলনা করলে কাল আমরা উন্নতি করতে চাই। এবার আগেই আমরা এবার গোল হজম করতে চাই না, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। কঠিন ম্যাচে নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে চাই। ম্যাচটা কঠিন করতে চাই অস্ট্রেলিয়ার জন্য।’