তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চারদফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো—তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।
প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।
গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।
গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রায় সারা দেশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। সোমবার খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বভাস বলছে, বুধবারও তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বৃষ্টি না থাকায় শিগগির গরমে কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, আজ দিনের তাপমাত্রা বেড়েছে। আগামীকালও তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, চলতি মাসে নতুন করে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামীকাল গরম কিছুটা বাড়বে, তারপর প্রায় একই রকম থাকবে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে, দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে আগামী ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন ধরে অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক বার্তায় বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনের অস্বস্তি বাড়তে পারে।
এর আগে, গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।