চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী মুন্নি হত্যা রহস্যের জট খুলেছে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রমজান আলী রাহাত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে খুনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। সে জানায়, প্রেমঘটিত কারণে ছয় বন্ধু-বান্ধবী মিলে পরিকল্পিতভাবে সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে নিয়ে মুন্নিকে তারা হত্যা করে। বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সি মোহাম্মদ মশিয়ার রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবাববন্দি দেয় রাহাত। এর আগে সকালে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ চট্টগ্রাম নগরীর পোর্ট কলোনি রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গত ১২ মে সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক থেকে পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মুন্নি আক্তারের (২২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জবানবন্দিতে রাহাত জানায়, চট্টগ্রাম মিপ্স নিউরাল ইনস্টিটিউটে পড়ার সময় মুন্নির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছরের সম্পর্কের পর মুন্নি রাহাতকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু রাহাত পারিবারিক ঝামেলার কথা বলে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে তাদের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। রাহাতের দাবি, পরে মুন্নি আরেক ছেলের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে যায়। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে রাহাত তার বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে মুন্নিকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা মতো, বান্ধবী জ্যোতি মুন্নিকে সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ছয় বন্ধু মুন্নিকে চাপাতি ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ইকো পার্কে ফেলে রাখে। সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, হত্যায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।