ঢাকা ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফসলি জমি নষ্ট করে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ, বরাদ্দ কতো জানে না সভাপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • ৬৩ বার

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধিঃ কৃষকের ফসসি জমি নষ্ট করে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। ফসল নষ্ট করায় ভুক্তভোগী কৃষক ফজলে রাব্বি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় মদন ইউনিয়নের বৃ-বরিকান্দি গ্রামের সামনের হাওরে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। মারফত আলীর জমি হইতে লিয়াকত আলীর জমি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ঐ প্রকল্পের পিআইসি কমিটির সভাপতি করা হয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আতিকুল ইসলামকে।

অভিযোগ রয়েছে, রাস্তা নির্মাণ করতে কৃষক ফজলে রাব্বীর রোপনকৃত বোরো জমির ফসলসহ আরো ৫/৭ জন কৃষকের লাখ টাকার ফসল নষ্ট করে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করা হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় কৃষকদের চাঁদাবাজির অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সরজমিন গেলে দেখা যায়, দুই পাশের জমির বোরো ফসল নষ্ট করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। বরাদ্দের তুলনায় কাজ করা হয়েছে নামে মাত্র। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) ভুক্তভোগী কৃষক ফজলে রাব্বি জানান, জোর পূবর্ক রাস্তা নির্মাণ করে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট করেছে। এখানে মাটি কেটে আমাদের আরো দূর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। রাস্তা নির্মাণের নামে সরকারি বরাদ্দের টাকা তারা লুটপাট করছে। প্রতিবাদ করায় চাঁদাবাজির অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।

প্রকল্পের পিআইসি কমিটির সভাপতি মদন ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আতিকুল ইসলাম জনান, এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না। প্রকল্পের কত টাকা বরাদ্দ তাও আমি জানি না।

এ ব্যাপারে মদন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম জানান, ফজলে রাব্বী মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। প্রকল্পের পিআইসির কাছে সে টাকা দাবি করেছিল। টাকা না দেওয়ায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ূন কবির জানান, অভিযোগের বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, ফসলী জমি নষ্ট করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ফসলি জমি নষ্ট করে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ, বরাদ্দ কতো জানে না সভাপতি

আপডেট টাইম : ০৪:১০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধিঃ কৃষকের ফসসি জমি নষ্ট করে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। ফসল নষ্ট করায় ভুক্তভোগী কৃষক ফজলে রাব্বি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় মদন ইউনিয়নের বৃ-বরিকান্দি গ্রামের সামনের হাওরে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। মারফত আলীর জমি হইতে লিয়াকত আলীর জমি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ঐ প্রকল্পের পিআইসি কমিটির সভাপতি করা হয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আতিকুল ইসলামকে।

অভিযোগ রয়েছে, রাস্তা নির্মাণ করতে কৃষক ফজলে রাব্বীর রোপনকৃত বোরো জমির ফসলসহ আরো ৫/৭ জন কৃষকের লাখ টাকার ফসল নষ্ট করে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করা হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় কৃষকদের চাঁদাবাজির অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সরজমিন গেলে দেখা যায়, দুই পাশের জমির বোরো ফসল নষ্ট করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। বরাদ্দের তুলনায় কাজ করা হয়েছে নামে মাত্র। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) ভুক্তভোগী কৃষক ফজলে রাব্বি জানান, জোর পূবর্ক রাস্তা নির্মাণ করে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট করেছে। এখানে মাটি কেটে আমাদের আরো দূর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। রাস্তা নির্মাণের নামে সরকারি বরাদ্দের টাকা তারা লুটপাট করছে। প্রতিবাদ করায় চাঁদাবাজির অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।

প্রকল্পের পিআইসি কমিটির সভাপতি মদন ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আতিকুল ইসলাম জনান, এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না। প্রকল্পের কত টাকা বরাদ্দ তাও আমি জানি না।

এ ব্যাপারে মদন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম জানান, ফজলে রাব্বী মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। প্রকল্পের পিআইসির কাছে সে টাকা দাবি করেছিল। টাকা না দেওয়ায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ূন কবির জানান, অভিযোগের বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, ফসলী জমি নষ্ট করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।