ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমির কেন কাঁদলেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • ৩৭ বার

বলিউডের মিস্টারপারফেকশনিস্ট আমির খান। তার বাবা তাহির হোসেন ২০১০ সালে মারা যান। তিনি একাধারে প্রযোজক, অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার ছিলেন। মা জিনাত হোসেন এখনো জীবিত।

আমির খান একটি ফিল্মি পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। বাবার পথ অনুসরণ করে রুপালি জগতে পা রাখেন তিনি। সময়ের সঙ্গে আমির যশ-খ্যাতির পাশাপাশি অনেক অর্থের মালিকও হয়েছেন। বর্তমানে আমির খানের যে ঝকঝকে জীবন দেখতে পাই, তার আড়ালে সংগ্রামী জীবন লুকিয়ে আছে। আর সেসব কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।

সম্প্রতি ব্রুট ইন্ডিয়াকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আমির খান। এ আলাপচারিতায় বাবা-মায়ের প্রসঙ্গ উঠে আসে। স্মৃতি হাতড়ে আমির চলে যানে শৈশবে। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এ অভিনেতা বলেন, ‘আমার মনে আছে, আমাদের স্কুল ইউনিফর্ম যখন বানিয়ে দেওয়া হতো, তখন আম্মি এটি ভাঁজ করে ফোল্ড করে দিতেন, যাতে আমাদের নতুন প্যান্ট বানাতে না হয়। আর এই ইউনিফর্মে ২-৩ বছর পার হয়ে যেত।’

৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন স্কুলের বেতন ছিল ৬ রুপি। সপ্তম শ্রেণিতে ছিল ৭ রুপি। দশম শ্রেণিতে ১০ রুপি ছিল। কিন্তু পুরো স্কুল জীবনে এমন কোনো বছর নেই, যে বছর আমিরের স্কুলের বেতন সঠিক সময়ে দিতে পেরেছেন তার বাবা। অর্থ সংকটসহ নানা প্রতিকূলতার মাঝে বাবা-মায়ের দেওয়া সময়টাই সেরা বলে মনে করেন আমির।

এ বিষয়ে আমির খান বলেন, ‘আব্বাজান এবং আম্মি যে জীবন দিয়েছেন এটাই সবচেয়ে ভালো জীবন। সব সমস্যা এবং সবকিছুর সঙ্গে তারা আমাদের যত্ন নিয়েছেন।’

পুরোনো সেই দিনের এসব কথা বলতে গিয়ে আমির খানের চোখের পাতা ভিজে উঠে। শুধু তাই নয়, এক পর্যায়ে ক্যামেরা থেকে উঠে যান আমির।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আমির কেন কাঁদলেন

আপডেট টাইম : ১১:০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

বলিউডের মিস্টারপারফেকশনিস্ট আমির খান। তার বাবা তাহির হোসেন ২০১০ সালে মারা যান। তিনি একাধারে প্রযোজক, অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার ছিলেন। মা জিনাত হোসেন এখনো জীবিত।

আমির খান একটি ফিল্মি পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। বাবার পথ অনুসরণ করে রুপালি জগতে পা রাখেন তিনি। সময়ের সঙ্গে আমির যশ-খ্যাতির পাশাপাশি অনেক অর্থের মালিকও হয়েছেন। বর্তমানে আমির খানের যে ঝকঝকে জীবন দেখতে পাই, তার আড়ালে সংগ্রামী জীবন লুকিয়ে আছে। আর সেসব কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।

সম্প্রতি ব্রুট ইন্ডিয়াকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আমির খান। এ আলাপচারিতায় বাবা-মায়ের প্রসঙ্গ উঠে আসে। স্মৃতি হাতড়ে আমির চলে যানে শৈশবে। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এ অভিনেতা বলেন, ‘আমার মনে আছে, আমাদের স্কুল ইউনিফর্ম যখন বানিয়ে দেওয়া হতো, তখন আম্মি এটি ভাঁজ করে ফোল্ড করে দিতেন, যাতে আমাদের নতুন প্যান্ট বানাতে না হয়। আর এই ইউনিফর্মে ২-৩ বছর পার হয়ে যেত।’

৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন স্কুলের বেতন ছিল ৬ রুপি। সপ্তম শ্রেণিতে ছিল ৭ রুপি। দশম শ্রেণিতে ১০ রুপি ছিল। কিন্তু পুরো স্কুল জীবনে এমন কোনো বছর নেই, যে বছর আমিরের স্কুলের বেতন সঠিক সময়ে দিতে পেরেছেন তার বাবা। অর্থ সংকটসহ নানা প্রতিকূলতার মাঝে বাবা-মায়ের দেওয়া সময়টাই সেরা বলে মনে করেন আমির।

এ বিষয়ে আমির খান বলেন, ‘আব্বাজান এবং আম্মি যে জীবন দিয়েছেন এটাই সবচেয়ে ভালো জীবন। সব সমস্যা এবং সবকিছুর সঙ্গে তারা আমাদের যত্ন নিয়েছেন।’

পুরোনো সেই দিনের এসব কথা বলতে গিয়ে আমির খানের চোখের পাতা ভিজে উঠে। শুধু তাই নয়, এক পর্যায়ে ক্যামেরা থেকে উঠে যান আমির।