জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেলের সদস্যদের মধ্যে বেতন-ভাতা নিয়ে হতাশা আগেও ছিল এখনো আছে। সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, নির্বাচক হাবিবুল বাশার এক যুগ কাজ করার পরও কাঙ্ক্ষিত বেতন-ভাতা পাননি।
সাবেক প্রধান নির্বাচক নান্নুর সর্বশেষ বেতন ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা। নির্বাচক হাবিবুল বাশারের বেতন ছিল দেড় লাখের মতো। প্যানেলের আরেক সদস্য রাজ্জাক মাসে পেতেন লাখ টাকার কিছু বেশি।
বর্তমান নির্বাচক প্যানেলের প্রধান গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে ৩ লাখ টাকা বেতন, সার্বক্ষণিক গাড়ি এবং দেশ-বিদেশ সফরে পরিচালকদের সমমানের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ায় হতাশায় ডুবে আছেন প্যানেলের বাকি দুই সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও হান্নান সরকার।
বর্তমান প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর উপস্থিতিতে রাজ্জাক-হান্নান ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, মাসিক বেতন ২ লাখ টাকায় উন্নীত করার জন্য। প্রধান নির্বাচক তাতে সাড়া দিয়ে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানান রাজ্জাক-হান্নানের বেতন বাড়াতে। দুই নির্বাচক এ দাবি নিয়ে সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজনের কাছে যান। তিনি ফিন্যান্স বিভাগের প্রধান ইসমাইল হায়দার মল্লিকের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলে বেশিদূর এগোতে পারেননি।
এ ব্যাপারে সিইও সুজনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি বোর্ডের অভ্যন্তরীণ এবং নীতিনির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এ কারণে আমি মন্তব্য করতে পারছি না।’
ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকে রাজ্জাককে ২ লাখ আর হান্নানকে দেড় লাখ টাকা মাসিক বেতন দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। এই বেতন বৈশ্বিক বিবেচনায় খুব বেশি নয় বলে মনে করেন ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টরা। এরপরও দুই নির্বাচককে সম্মানজনক বেতন দিতে রাজি না বোর্ড।
তবে রাজ্জাক-হান্নান বিসিবি সভাপতি পাপনের কাছে বেতন বাড়ানোর কথা জানালে হয়তো লাভবান হতে পারেন। শুধু দুই নির্বাচকই নন, দীর্ঘদিন ধরে ইনক্রিমেন্ট এবং প্রমোশন বন্ধ রাখায় হতাশায় ভুগছেন বিসিবি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।