ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লিবিয়ায় বন্দি বাংলাদেশিদের ৭৯ শতাংশই নির্যাতনের শিকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৯১ বার
ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়া গিয়ে ৬৩ শতাংশ বাংলাদেশি কর্মীই বন্দি হয়েছেন। এই বন্দি কর্মীদের ৭৯ শতাংশই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৫৪ শতাংশ কর্মী কখনো তিন বেলা খাবার পাননি। আর ২২ শতাংশ কর্মী দিনে মাত্র এক বেলা খাবার পেয়েছেন।

সম্প্রতি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় ব্র্যাক।ব্রাক জানায়, লিবিয়া থেকে ফেরত আসা ৫৫৭ জন বাংলাদেশির যাত্রা, গন্তব্য, অর্থ, নিপীড়ন, উদ্ধার থেকে শুরু করে প্রত্যেকের ৫০ ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই গবেষণাটি করা হয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে, ২৬ থেকে ৪০ বছর বয়সী লোকজন সবচেয়ে বেশি ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছেন।

এর মধ্যে ৩১ থেকে ৩৫ বছরের লোক সবচেয়ে বেশি। এদের বেশির ভাগেরই বাড়ি মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা এলাকায়।ব্র্যাক আরো জানায়, যাত্রাপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে দুবাই-মিসর হয়ে লিবিয়া গেছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ। এ ছাড়া ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুল-দুবাই হয়ে লিবিয়া, ঢাকা থেকে কাতার হয়ে লিবিয়া, ঢাকা থেকে দুবাই-সিরিয়া হয়ে লিবিয়া এবং অল্প কিছু লোক ঢাকা থেকে সরাসরি লিবিয়া গিয়েছেন।

এভাবে লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য অর্থ কোথায় পেয়েছেনে এমন প্রশ্নের উত্তরে ৫৬ শতাংশ বলেছেন, তারা নিজেরাই এই টাকা জোগাড় করেছেন। ২৩ শতাংশ বলেছেন, তারা পরিবারের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়েছেন।এ বিষয়ে ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান (মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফরম) বলেন, ‘বাংলাদেশের সব জেলার লোক কিন্তু এভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করে না। মূলত সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকার লোকজন এভাবে ইউরোপে যায়। আমাদের গবেষণায় এটি উঠে এসেছে যে দালালরা এসব এলাকার অভিভাবক ও তরুণদের ভালো চাকরি আর ইউরোপের প্রলোভন দেখাচ্ছে, যেটি বাস্তবসম্মত নয়।

কাজেই সাধারণ মানুষ ও বিদেশগামীদের সবার আগে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি এলাকার স্থানীয় দালাল ও মানবপাচারচক্রকে চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সমন্বিত অভিযান চালাতে হবে।’
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

লিবিয়ায় বন্দি বাংলাদেশিদের ৭৯ শতাংশই নির্যাতনের শিকার

আপডেট টাইম : ১১:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়া গিয়ে ৬৩ শতাংশ বাংলাদেশি কর্মীই বন্দি হয়েছেন। এই বন্দি কর্মীদের ৭৯ শতাংশই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৫৪ শতাংশ কর্মী কখনো তিন বেলা খাবার পাননি। আর ২২ শতাংশ কর্মী দিনে মাত্র এক বেলা খাবার পেয়েছেন।

সম্প্রতি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় ব্র্যাক।ব্রাক জানায়, লিবিয়া থেকে ফেরত আসা ৫৫৭ জন বাংলাদেশির যাত্রা, গন্তব্য, অর্থ, নিপীড়ন, উদ্ধার থেকে শুরু করে প্রত্যেকের ৫০ ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই গবেষণাটি করা হয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে, ২৬ থেকে ৪০ বছর বয়সী লোকজন সবচেয়ে বেশি ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছেন।

এর মধ্যে ৩১ থেকে ৩৫ বছরের লোক সবচেয়ে বেশি। এদের বেশির ভাগেরই বাড়ি মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা এলাকায়।ব্র্যাক আরো জানায়, যাত্রাপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে দুবাই-মিসর হয়ে লিবিয়া গেছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ। এ ছাড়া ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুল-দুবাই হয়ে লিবিয়া, ঢাকা থেকে কাতার হয়ে লিবিয়া, ঢাকা থেকে দুবাই-সিরিয়া হয়ে লিবিয়া এবং অল্প কিছু লোক ঢাকা থেকে সরাসরি লিবিয়া গিয়েছেন।

এভাবে লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য অর্থ কোথায় পেয়েছেনে এমন প্রশ্নের উত্তরে ৫৬ শতাংশ বলেছেন, তারা নিজেরাই এই টাকা জোগাড় করেছেন। ২৩ শতাংশ বলেছেন, তারা পরিবারের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়েছেন।এ বিষয়ে ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান (মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফরম) বলেন, ‘বাংলাদেশের সব জেলার লোক কিন্তু এভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করে না। মূলত সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকার লোকজন এভাবে ইউরোপে যায়। আমাদের গবেষণায় এটি উঠে এসেছে যে দালালরা এসব এলাকার অভিভাবক ও তরুণদের ভালো চাকরি আর ইউরোপের প্রলোভন দেখাচ্ছে, যেটি বাস্তবসম্মত নয়।

কাজেই সাধারণ মানুষ ও বিদেশগামীদের সবার আগে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি এলাকার স্থানীয় দালাল ও মানবপাচারচক্রকে চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সমন্বিত অভিযান চালাতে হবে।’