ভোটে কারচুপির অভিযোগে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলি চাথা। এদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান বিচারপতির পদত্যাগসহ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে বিক্ষোভ চলছে পাকিস্তানজুড়ে। আটক করা হয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে।
পাকিস্তানে ভোটে কারচুপির অভিযোগে থমথমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। দায় স্বীকার করে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলি জড়ালেন নতুন কান্ডে।
রোববার রাওয়ালপিন্ডি কমিশনার লিয়াকত আলি চাথা নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে, তার কার্যালয় সিল করে দেয়া হয়।
পুলিশ বলছে, ওই কমিশনারের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তাকে আটক করা হয়নি। তবে অভিযোগের কারণে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা ও প্রধান বিচারপতি কাজি ফয়েজ ইসার পদত্যাগ দাবি করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল। পাশাপাশি, কারচুপির প্রতিবাদে ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচিসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ করছে পিটিআই।
বেলুচিস্তানের চামান জেলায় বিক্ষোভ করেছেন আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি ও জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
নির্বাচনের খণ্ডতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন। এতে দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।