রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিসান বেকারিতে ভয়াবহ নৃশংস জঙ্গি মামলার সঙ্গে পরোক্ষভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দায়ী কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, বিএনপিও নব্য মুসলিম লীগ এবং এরা জঙ্গি। এদের সঙ্গে কোনো ঐক্য হতে পারে না।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিসান বেকারিতে ভয়াবহ নৃশংস জঙ্গি হামলা, শোলাকিয়া, পবিত্র নগরী মদিনায় ও ফ্রান্সের নিস শহরে জঙ্গি হামলায় দেশি-বিদেশি নাগরিক নিহত হওয়ার এবং বিশ্বব্যাপী সংঘটিত জঙ্গি ও সন্ত্রাসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে আনা প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
প্রস্তাবকারী সেলিম আরো বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্ট আছে এই ঘটনার সাথে সাথে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান পাকিস্তান ও মিডিলিস্টের অনেক দেশে যোগাযোগ করেছে এবং বাংলাদেশেও তার এক কাজের লোকের সঙ্গে অনেকে যোগাযোগ করেছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনার পূর্বে বিভিন্ন জঙ্গি বিভিন্ন সময় শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আর এই জঙ্গি হামলার পূর্বে যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেমের ছেলে ১৫০ কোটি টাকা দিয়েছে, যা গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। জঙ্গি হামলার পর খালেদা জিয়া বলেছেন সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তাহলে কি খালেদা জিয়া সার্থক হয়েছেন? এই ঘটনায় তিনি নিন্দা না করে জঙ্গিদের তিনি পেছন থেকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, জঙ্গিদের আড়াল করার জন্য তিনি এসব বক্তব্য দিয়েছেন। ইনডাইরেক্টলি খালেদা জিয়া এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অনুরোধ করেন। কেননা এ ঘটনার পূর্বে মাদারীপুরে এক স্কুলমাস্টারকে ফাহিম নামে একজন হত্যা করতে গিয়েছিল। কিন্তু পরে তিনি ক্রসফায়ারে মারা যাওয়ার পর খালেদা জিয়া বলেছেন এটা ঠিক হয়নি। খালেদা জিয়া স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছেন, ফাহিম একজন ভালো ছেলে। তাকে এভাবে মারা উচিত হয়নি। এতে কি প্রমাণ হয় না খালেদা জিয়া এদের পক্ষে।
সেলিম বলেন, খালেদা জিয়া গুলশানের ঘটনাকে রক্তাক্ত অভ্যুত্থান বলেছেন। তাহলে কি তিনি জঙ্গিদের দিয়ে রক্তাক্ত অভ্যুত্থান করেছিলেন?
তিনি দাবি করেন, খালেদা জিয়া এখন পর্যন্ত এসব ঘটনায় কোনো নিন্দা করেননি। তিনি বলেন, ’৭১ সালে মুসলিম লীগ পাকিস্তানি সেনা দিয়ে এদেশের মানুষ হত্যা করেছে। এখনো বিএনপি জামায়াত মানুষ হত্যা করেছে। বিএনপিও নব্য মুসলিম লিগ এবং এরা জঙ্গি।
তিনি বলেন, এই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে কোনো ঐক্য হতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, জাপানি নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যার সঙ্গে বিএনপি নেতা কাইয়ুম ও তার ভাই মতিন জড়িত। রংপুরে জাপানি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও বিএনপির নেতা জড়িত। গুলশানের ঘটনা তার ধারাবাহিকতা কিনা এটা খুঁজে দেখার জন্য আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানাই।
তিনি বলেন, একটি সাম্প্রদায়িক শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি মেনে নিতে পারেনি। এরা পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য এই দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়।