অর্থমন্ত্রীর উত্থাপিত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট বিবরণ নিয়ে সমালোচনা করলেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা করতে গিয়ে সম্পূরক বাজেটে কোন খাতে টাকা নেয়া হচ্ছে, কেন নেয়া হচ্ছে- সেটার যথাযথ বিরবণ না থাকায় এর সমালোচনা করেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত থাকলেও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদে উপস্থিত ছিলেন না।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “আমাদের কি মনে করছেন এই পার্লামেন্টে? হোয়াট ইজ থিং? তারপর কি লিখছেন দুইটি চলমান প্রকল্প। কোথাকার প্রকল্প? কি নাম তাদের? বাড়ি কোথায়? কোথা থেকে আইছে? আকাশ না বাতাস? দয়া কইরা বলেন। না বলবেন না। উন্নয়ন সহায়তা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশেষ প্রয়োজন। বিশেষ প্রয়োজনটা কি? হোয়াট ইজ দ্য বিশেষ? অনার এবল মিনিস্টার? কাইন্ডলি এক্সপ্লেইন ইট। দেয়ার আর থ্রি হানড্রেড মেম্বারস। দে আর পাবলিক রিপ্রেজেন্টিটিভ। পরিকল্পনাতে যদি এটা হয়? পরিকল্পনাতে অবশ্যই টাকা যাবে। যদি আমাদের সামর্থ্য থাকে পরিকল্পনায় আমরা আরও ৪ ডাবল টাকা দিতে চাই। পরিকল্পনায় টাকা দেবো না তো দেবো কোথায়? কিন্তু আপনি সম্পূরক বাজেট করে নেবেন আমাকে বলবেন না? পার্লামেন্টকে আপনি আন্ডারগ্রাউন্ড করবেন। পার্লামেন্টকে আপনি বাইপাস করবেন।”
তিনি বলেন, “৩২টি মন্ত্রণালয় ২৩ হাজার ৫০ কোটি টাকা খরচই করতে পারে নাই। এই সৌভাগ্যবান মন্ত্রীরা কারা? ১ টাকাও খরচ করতে পারেন নাই। হাতই দিতে পারেন নাই। হাতই যদি দিতে না পারেন, একা প্রধানমন্ত্রী কি করবে? সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, সম্পূরক আর্থিক বিবৃতিতে আপনি আমার ভোট নিবেন তো? এইটা তো এই পার্লামেন্টে ভোট ছাড়া পাস হবে না? আমি কিসে ভোট দিব? ভোট দিতে গেলে আপনাকে বলতে হবে এই এই মন্ত্রী, এই এই মন্ত্রণালয় এই টাকাটা খরচা করতে পারে নাই। কেন পারে নাই, এই কথাটাও আপনাকে বলতে হবে। এই কথাটাই আপনার আর্টিক্যাল ৯১-এ বলেছে। যারা বেশি খরচা করেছে আমি তাদের সম্বন্ধে পরে আসছি। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে ওয়ান হান্ডের্ড ইয়ার হিস্ট্রি শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ২২ কোটি টাকা। রাষ্ট্রপতি ভবনের ইতিহাস রাখতে হবে ভালো কথা। রাখেন। এইটা যে একেবারে সাপ্লিমেন্টারী বাজেট কইরে করতে হবে। হোয়াট ইজ দ্য আর্জেন্সি? এইটা তো সাপ্লিমেন্টারী বাজেট হবে পৃথিবীর কোথাও নাই।”
সুরঞ্জিত বলেন, সম্পূরক বাজেটের নিয়মই হচ্ছে, যেসব মন্ত্রণালয় তাদের কাজের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা খরচ করবে তা এখানে পাস করে দেয়া। সেটা আমরা সব সদস্য ভোট দিয়ে পাস করি। কিন্তু এটাতে যদি কোন প্রকার টাকা নেয়ার সঠিক কারণ উল্লেখ করা না থাকে তাহলে আমরা এটি পাস করাতে কিভাবে ভোট দেব, কোথায় ভোট দেব, আর কেনই বা দেব?
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “আমাদের কি মনে করছেন এই পার্লামেন্টে? হোয়াট ইজ থিং? তারপর কি লিখছেন দুইটি চলমান প্রকল্প। কোথাকার প্রকল্প? কি নাম তাদের? বাড়ি কোথায়? কোথা থেকে আইছে? আকাশ না বাতাস? দয়া কইরা বলেন। না বলবেন না। উন্নয়ন সহায়তা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশেষ প্রয়োজন। বিশেষ প্রয়োজনটা কি? হোয়াট ইজ দ্য বিশেষ? অনার এবল মিনিস্টার? কাইন্ডলি এক্সপ্লেইন ইট। দেয়ার আর থ্রি হানড্রেড মেম্বারস। দে আর পাবলিক রিপ্রেজেন্টিটিভ। পরিকল্পনাতে যদি এটা হয়? পরিকল্পনাতে অবশ্যই টাকা যাবে। যদি আমাদের সামর্থ্য থাকে পরিকল্পনায় আমরা আরও ৪ ডাবল টাকা দিতে চাই। পরিকল্পনায় টাকা দেবো না তো দেবো কোথায়? কিন্তু আপনি সম্পূরক বাজেট করে নেবেন আমাকে বলবেন না? পার্লামেন্টকে আপনি আন্ডারগ্রাউন্ড করবেন। পার্লামেন্টকে আপনি বাইপাস করবেন।”
তিনি বলেন, “৩২টি মন্ত্রণালয় ২৩ হাজার ৫০ কোটি টাকা খরচই করতে পারে নাই। এই সৌভাগ্যবান মন্ত্রীরা কারা? ১ টাকাও খরচ করতে পারেন নাই। হাতই দিতে পারেন নাই। হাতই যদি দিতে না পারেন, একা প্রধানমন্ত্রী কি করবে? সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, সম্পূরক আর্থিক বিবৃতিতে আপনি আমার ভোট নিবেন তো? এইটা তো এই পার্লামেন্টে ভোট ছাড়া পাস হবে না? আমি কিসে ভোট দিব? ভোট দিতে গেলে আপনাকে বলতে হবে এই এই মন্ত্রী, এই এই মন্ত্রণালয় এই টাকাটা খরচা করতে পারে নাই। কেন পারে নাই, এই কথাটাও আপনাকে বলতে হবে। এই কথাটাই আপনার আর্টিক্যাল ৯১-এ বলেছে। যারা বেশি খরচা করেছে আমি তাদের সম্বন্ধে পরে আসছি। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে ওয়ান হান্ডের্ড ইয়ার হিস্ট্রি শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ২২ কোটি টাকা। রাষ্ট্রপতি ভবনের ইতিহাস রাখতে হবে ভালো কথা। রাখেন। এইটা যে একেবারে সাপ্লিমেন্টারী বাজেট কইরে করতে হবে। হোয়াট ইজ দ্য আর্জেন্সি? এইটা তো সাপ্লিমেন্টারী বাজেট হবে পৃথিবীর কোথাও নাই।”
সুরঞ্জিত বলেন, সম্পূরক বাজেটের নিয়মই হচ্ছে, যেসব মন্ত্রণালয় তাদের কাজের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা খরচ করবে তা এখানে পাস করে দেয়া। সেটা আমরা সব সদস্য ভোট দিয়ে পাস করি। কিন্তু এটাতে যদি কোন প্রকার টাকা নেয়ার সঠিক কারণ উল্লেখ করা না থাকে তাহলে আমরা এটি পাস করাতে কিভাবে ভোট দেব, কোথায় ভোট দেব, আর কেনই বা দেব?