অবশেষে মুখ খুলেছেনলেবাননের শিয়া ইসলামি গোষ্ঠী হেজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরাল্লাহ। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জনসম্মুখে প্রথমবারের মতো আজ শুক্রবার তিনি ভাষণ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা তুফান অভিযান প্রমাণ করেছে দখলদার ইসরায়েল মাকড়সার জালের চেয়েও দুর্বল। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত লাইভ ভাষণে তিনি আরও বলেছেন, আল-আকসা তুফান অভিযান ফিলিস্তিনিদের সিদ্ধান্তে হয়েছে। ফিলিস্তিনিরাই সব কিছু করেছে, তারাই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। অভিযানের বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয় ছিল বলেই তা সফল হয়েছে।
হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, আল-আকসা তুফান অভিযান ছিল অত্যন্ত বীরত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত সফল। এর বাইরে ফিলিস্তিনিদের সামনে আর কোনো পথ বাকি ছিল না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হেজবুল্লাহ প্রধান আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা অভিযানের পর ইসরায়েলি বাহিনী নিজেরাই নিজেদের লোকদের হত্যা করেছে। তারা হামাসের কাছ থেকে ইহুদি উপশহরগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য তাড়াহুড়োমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে, পাগলামি করেছে। তারাই নিজেদের লোকদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে, তাদের অস্ত্রের আঘাতে উপশহরে অনেক ইহুদিবাদী প্রাণ হারিয়েছে। এখন ইসরায়েলে প্রকাশিত বিভিন্ন নিবন্ধে এসব তথ্য আসছে। ভবিষ্যতে তা আরও পরিষ্কার হবে।
ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধের মধ্যে হেজবুল্লাহ গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই করছে।
গ্রুপটি জানায়, হেজবুল্লাহ একযোগে ইসরায়েলের ১৯টি অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর এর জবাবে ইসরায়েলও ‘বিস্তৃত পরিসরে’ হামলা চালানোর কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তঃসীমান্ত হামলা অনেক বেড়ে যেতে দেখা গেছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখার লেবানিজ শাখা দাবি করে বলেছে, তারা ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী শহর কিরিয়াত শমোনাতেও রকেট হামলা চালিয়েছে।