যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী একটি ফিলিস্তিনি পরিবার বলেছে, ইসরাইল-হামাস চলমান যুদ্ধে একদিনে তাদের পরিবারের ৪২ জন আত্মীয় নিহত হওয়ার খবর পেয়েছেন।
সিএনএনের সঙ্গে কথা বলার সময় তারিক হামুদা ও তার স্ত্রী মানাল জানান, তিন প্রজন্মকে একসঙ্গে হারিয়েছেন।
আরও বলেন, ১৯ অক্টোবর গাজা শহরের শেখ ইজলিন অঞ্চলে ইসরাইলি বিমান হামলায় পরিবারের সদস্যরা নিহত হন।
বুধবার সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, তারিক হামুদা ও তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের শহর মানাল মিনেসোটার ম্যাপেল গ্রোভে থাকেন। তারা গাজার একই অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।
তারিক বলেন, ১৯ অক্টোবরের দুটি বিস্ফোরণে মানালের বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। প্রাণঘাতী এ হামলার ফলে তার চার ভাই, এক বোন ও তাদের সন্তানদের চিরতরে হারিয়ে ফেলেন।
আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রী পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে ভালোবাসতেন। সে তার পরিবারের সঙ্গে গ্রীষ্ম কাটিয়েছে।’
মৃতদের জন্য শোক করার থেকেও, যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরে যারা বেঁচে আছেন তাদের নিয়ে চিন্তিত তারিক। মিসেস মানালের চাচাতো ভাই ইয়াদ আবু শাবানও তার পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর খবর পেয়ে সমানভাবে উদ্বিগ্ন। ইয়াদ থাকেন সাউথ ফ্লোরিডায়।
বলেন, ‘এ খবরে যেন আমার পুরো পৃথিবী থমকে গেছে। এটি এক, দুই, তিন, বা চার নয়-এটি ৪২ সদস্য। এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সত্যিই কঠিন।’
ইয়াদের মতে, নিহতদের বয়স ৩ মাস থেকে ৭৭। সিএনএনের সঙ্গে কথা বলার সময়, তিনি দাবি করেছিলেন, বিমান হামলার আগে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ফোন করেছিল যে এলাকায় সামরিক তৎপরতা থাকতে পারে। কিন্তু কখনই তাদের বাড়ি খালি করতে বলা হয়নি। তারা সতর্কতাসহ এবং সতর্কতা ছাড়াই বাড়িগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছে। তাদের কোথাও যাওয়ার সুযোগ ছিল না।