হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিরিয়ার মাধ্যমে ইরান গাজায় অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসরাইলের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্সের প্রধান জোশুয়া জারকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টের মন্তব্যের ঘরে লেখেন, তারা (ইরানিরা)।’
ওই পোস্টে ইরান গাজায় অস্ত্র পাঠাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। আরো বলা হয়, ‘ইসরাইলিরা এ ধরণের কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
যার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি ওই কর্মকর্তা লেখেন, ‘আমরা (প্রতিজ্ঞাবদ্ধ)।’
ফিলিস্তিনের বড় সমর্থক ইরান। দেশটি হামাসকে অস্ত্র, তহবিল এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করে বলে দীর্ঘ দিন ধরে অভিযোগ করে আসছে ইসরাইল ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) শনিবার জানিয়েছে, প্রস্তুতির মাত্রা বাড়াতে এবং বড় ধরনের স্থল অভিযানের প্রস্তুতির জন্য ইসরাইলজুড়ে বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থে গাজায় জেনেভা কনভেনশনও মানছে না ইসরাইল। অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির হামাস সেনাদের নিধনের নামে নিরীহ-নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে গাজায় ইসরাইলের নিরবিচ্ছিন্ন বোমা বর্ষণের ফলে চলমান রক্তপাত বন্ধে পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। ‘খুব দেরি’ হওয়ার আগেই ইসরাইলকে যুদ্ধ থামাতে বলেছে দেশটি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান লেবাননে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসরাইলকে এ সতর্ক করেন।
তিনি বলেন, ইসরাইলি বর্ণবাদের যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এর সুদূরপ্রসারী পরিণতি ঘটতে পারে, যার দায় জাতিসংঘ, নিরাপত্তা পরিষদ এবং কাউন্সিলকে মৃত পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া রাষ্ট্রগুলোর।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করে তা বন্ধ করতে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে ইরান। না হলে দখলদারী দেশটিকে অবিনাশী ভূমিকম্পের সম্মুখীন হতে হবে বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তেহরান।